বি টাউনের ইতিহাসে এমন বহু আইকনিক ছবি আছে যা আজও গেঁথে আছে মানুষের মনে। ছবির গল্পের সাথে সাথে চরিত্রগুলিও আলাদা পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছে। এমতাবস্থায় এমন অনেক স্নেহময় বাবার চরিত্র আমরা দেখেছি যারা নিজেদের সন্তানের জন্য সমস্ত রকমের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তত। আবার এমনও কিছু পিতার চরিত্র আছে যাদের জেদের কাছে সন্তানের প্রাণও তুচ্ছ। এমনই কিছু পিতার চরিত্র নিয়ে আলোচনা করবো আজকের প্রতিবেদনে।
1. থ্রি ইডিয়ট-এ প্রিন্সিপাল বীরু সহস্রবুদ্ধি (বোমান ইরানি) : এই ছবিতে বোমান ইরানি এমন একজন পিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যার জেদের আগে সবকিছু মিথ্যা। বাবার ইচ্ছেমতো চলতে গিয়ে শেষমেষ হাল ছেড়ে দেয় ছেলেটি। একরাশ হতাশা, ক্লান্তি আর দুঃখকে সঙ্গী করে শেষমেষ মৃত্যুকে বেছে নেয় তার ছেলে।
2. কাভি আলবিদা না কেহনা ছবিতে দেব শরণ (শাহরুখ খান) : বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত ছবি হলো ‘কাভি আলবিদা না কেহনা’। অনেকের মতে এই ছবি সমাজের কাছে একটি দৃষ্টান্ত আবার কেউ কেউ বলে ছবিতে অযথাই পরকিয়াকে প্রমোট করা হয়েছে। ছবিতে শাহরুখের চরিত্র দেব শরণ নিজের ছেলেকে খেলাধুলার চেয়ে সঙ্গীত পছন্দ করার জন্য তিরস্কার করেন। আবার সেই দেব শরণই পরে স্ত্রী সন্তানকে ছেড়ে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন।
3. ‘উড়ন’-এ ভৈরব সিং (রনিত রায়) : এই ছবিতে রমিত রয় এমন এক পিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিনি অত্যন্ত স্বার্থপর এবং নিজের জীবনের ক্ষোভ সন্তানদের উপর বের করেন।
4. নিশঃব্দ-এ বিজয় আনন্দ (অমিতাভ বচ্চন) : এই ছবিতে এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও নিজের মেয়ের বান্ধবীরই প্রেমে পড়ে যায়। এমনকি সেই প্রেমকে হাসিল করার জন্য নিজের স্ত্রী এবং মেয়ের জীবন সংকটে ফেলতেও রাজি হয়ে যান তিনি।
5. তারে জমিন পর-এ নন্দকিশোর অবস্থি (ভিপিন শর্মা) : ছেলেকে বোঝার পরিবর্তে ক্রমাগত বকাঝকা, মারধরের রাস্তা বেছে নেন। এইসমস্ত প্রচেষ্টা বিফলে গেলে একটা বাচ্চা ছেলেকে বোর্ডিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি একজন শিক্ষক (আমির খান) তার ছেলের অসুবিধার কথা বোঝাতে চাইলে তাকেও অপমান করতে ছাড়েননা।