ছোটপর্দার দ্রৌপদীকে নিশ্চয় সবার মনে আছে। শ্রীকৃষ্ণের সখি রূপে অভিনয় করেছিলেন রূপা গাঙ্গুলি (Roopa Ganguly)। এই চরিত্রে তার নিখুঁত অভিনয় আপামর ভারতবাসীর মনে সাড়া ফেলেছিল। হিন্দি টেলিভিশনে দারুণ যশ খ্যাতি অর্জন করেছিল এই বঙ্গ তনয়া। এমনকি অনস্ক্রিন দ্রৌপদীকে অফস্ক্রিনেও দ্রৌপদী বলে সম্ভোধন করতেন অনেকে।
তবে কর্মক্ষেত্রে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে গেলেও ব্যক্তিগত জীবনে নানা ওঠা পড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যদিও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনোদিনই খোলাখুলি আলোচনা করতে চাননি তিনি। তবে তারমধ্যেও প্রকাশ্যে এসেছে বেশকিছু অজানা কথা। তাহলে চলুন একনজরে চিনে নেওয়া যাক অচেনা রূপ গাঙ্গুলিকে।
মহাভারতে দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছিলেন তিনি। ফিল্মফেয়ারে প্লে ব্যাকের জন্য পুরস্কারও পান তিনি। কেরিয়ারের শীর্ষে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বিয়েও করে নেন তিনি। ১৯৯২ সালে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার ধ্রুব মুখোপাধ্যায়ের (Dhrubo Mukherjee) সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রূপা।
আর বিয়ের পরপরই কেরিয়ার ছেড়ে সংসার গোছানোর জন্য ফিরে আসেন কলকাতায়। তবে শোনা যায়, সুখে সংসার করা আর হয়ে ওঠেনি। মিডিয়ার খবর, নিত্যদিন সংসারে অশান্তি এবং কলহ তাকে নিয়ে যায় অবসাদের দিকে। স্বামীর অত্যাচার তো তাকে আত্মহত্যার দিকেও ঠেলে দেয়। শোনা যায় ৩ বার আত্মহননের চেষ্টাও করেছিলেন।
শেষমেষ আর সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্সের পথে হাঁটেন তিনি। তারপরেও মেলেনি শান্তি। এরপরেই একমাত্র ছেলে আকাশকে নিয়ে নেমে আসে সমস্যা। গত বছর নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে হাজতে যায়। এইসব সামলে আরো একবার থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রূপা।
নিজের চেয়ে ১৩ বছরের ছোট সঙ্গীত শিল্পী দিব্যেন্দুর (Dibyendu Mukherjee) সাথে সম্পর্কে জড়ান রূপা গাঙ্গুলি। দীর্ঘদিন লিভ ইনে থাকার পর আলাদা হয়ে যান তারা। তবে এসবের মধ্যে ভালো খবর এটাই, ধীরে ধীরে কাজে ফিরতে শুরু করেন তিনি। টেলিভিশনের পাশাপাশি কাজ করতে শুরু করেন হিন্দি ও বাংলা ছবিতেও।