বয়স তার প্রায় ৬০ এর কোঠায়। এই বয়সে এসে নতুন করে জীবন শুরু করার ভাবনা অনেকেই ভাবতে পারেনা। তবে আশিষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi) সেই ভাবনা ভেবেছেন। সমাজের তোয়াক্কা না করে সংসার পেতেছেন নতুনভাবে। দীর্ঘ ২২ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে সংসার পেতেছেন রূপালী বড়ুয়াকে। তারপর থেকেই নেটমাধ্যমে উঠেছে কটাক্ষের ঝড়। তারপরেই অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন শ্রাবন্তী-রূপাঞ্জনা (Srabanti Chatterjee-Rupanjana Mitra)।
তবে আশিস বিদ্যার্থীই প্রথম নন, এর আগে টলিপাড়াতেও এরকম বহু উদাহরণ দেখা গেছে। আর এই তালিকার প্রথমেই রয়েছে শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। তার তিনবার বিয়ে এবং ডিভোর্সের মুখরোচক গল্প তো সবার মুখে। তারপর থেকেই দফায় দফায় কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। আর শেষ স্বামী রোশন সিং-র সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা তো এখনও কোর্টে বিচারাধীন।
এদিকে টেলিপাড়ার দাপুটে অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রও কিছুদিন আগেই নিজের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেছেন। বহুদিন হল তার প্রথম সম্পর্ক ভেঙে গেছে। একটা সন্তানও রয়েছে তাদের। সেইসময় এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। আশিসের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি খানিকটা এমনটাই। এই পরিস্থিতিতে কী বললেন শ্রাবন্তী, রূপাঞ্জনারা?
এই বিষয়ে শ্রাবন্তী বলেন, “আমি নিজের শর্তে বাঁচি। আর অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তাঁরাই চর্চা করেন, যাঁদের জীবনে ফাঁকা সময় অনেক।” নায়িকার সংযোজন, “তার খারাপ সময় তো পাশে দাঁড়িয়ে কেউ সাহায্য করেনি। তা হলে সে যদি ভাল থাকার চেষ্টা করেন, তা হলে অন্য জনের এত সমস্যা কিসের? উনি ভাল থাকতে চেয়েছেন। এটা তো অন্যায় নয়। খুব ভাল যে, ৫৭ বছর বয়সে নতুন ভাবে জীবন শুরু করার কথা ভেবেছেন। আমাদের তো প্রশংসা করা উচিত।”
একই কথা সুরঞ্জনার মুখেও। তিনি বলেন, “মানুষের মননটা জানা জরুরি। তারা যদি সকাল থেকে উঠে নেতিবাচক বিষয় খুঁজে খুঁজে বার করার চেষ্টা করেন, তা হলে বুঝতে হবে তাদের জীবনটাই আসলে এমন। কিছু হলেই তারা ভয় পান। এগুলোতে বেশি না গুরুত্ব না দেওয়াই ভাল। এটা তো তার জীবন। তিনি ভাবছেন। আশিসবাবুর সঙ্গে আমার এক বারই আলাপ হয়েছিল। খুবই ভাল মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমি যখন নিজের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করি, তখনও অনেকে নানা মন্তব্য করেছিলেন। তবে তারাই এখন ভাল কথা বলেন। সুতরাং, আমি আশিসবাবুকে শুভেচ্ছা জানাব নতুন জীবনের জন্য।”
তবে কেবল আশিস, রূপাঞ্জনা, শ্রাবন্তীই নন, এই তালিকায় এমন অনেকেই রয়েছে যারা নিজেদের শর্তে বেঁচেছেন। কিশোর কুমার থেকে সঞ্জয় দত্ত, সইফ আলি খান থেকে মাসাবা গুপ্ত রয়েছেন তালিকায়। এই বিষয়ে আশিস নিজে বলেছেন, ‘‘ভাল থাকার অধিকার সবার আছে। দিনের শেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই।” তিনি বলেন, বিয়ে টাকার চেষ্টা করলেও শেষমেষ সেটা টেকেনি।
