নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাংলা ছবির ভয়ানক ভিলেনকে (Tollywood Villian) সকলের মনে আছে নিশ্চই? ‘কেঁচো খুড়তে কেউটে’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় (Sumit Ganguly)। এরপর একেরপর এক সুপারহিট ছবিতে দাঁতে দাঁত চেপে তার অভিনয় দেখেই ভয়ে কাঁটা হয়ে যেত সকলে। কখনোও গুন্ডা তো কখনও ধর্ষক হিসাবে দেখানো হয়েছিল তাকে। তবে মাঝে দীর্ঘিদিন তার দেখা মেলেনি। আসন্ন ‘খাদান’ (Khadan) সিনেমায় আবারও তাকে দেখা যাবে তবে অন্যভাবে!
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছিলেন সুমিত গান্দোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান, ‘আমি কিছু না হলেও ৮-৯ কোটি ছেলেমেয়েকে মানুষ করেছি। আর ভয় দেখিয়েই তাদের সময় খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানোর মত কাজ করিয়েছেন বাবা-মায়েরা। লেখাপড়া করেছে আমার ভয়েই, এখন তারা অনেক বড় হয়ে গেছে, চাকরি-বাকরি করছে। এটা নিঃসন্দেহে আমার বড় প্রাপ্তি’।
বাস্তবে কেমন মানুষ বাংলার ভয়ানক ভিলেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়?
পর্দায় হাড় কাঁপানো ভিলেন হলেও বাস্তবে কিন্তু একেবারে উল্টো সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়। ষোলো আনা সংসারী মানুষ তিনি, তার মত মানুষই হয় না। মেয়ে বউকে নিয়ে সুখী জীবন তাঁর। আর বাড়িতে অভিনেতা নিজেই ভয় পান নিজের মেয়েকে। এছাড়াও এদিন স্ত্রী শেলি গাঙ্গুলীর সাথে কিভাবে প্রেমে পড়লেন সেই নিয়েও মুখ খুলেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ নিছক অভিনয় নয়, শুটিং ফ্লোরে উত্তেজিত হয় সত্যিই ‘সপাৎ সপাৎ’ দিতেন ‘বেল্ট ম্যান’ রঞ্জিত মল্লিক!
অভিনেতার মতে, ‘খাতায় কলমে বয়স ৬০ এর কাছে হলেও মনের বয়স কিন্তু ২৫। আমার সাথে কোনো মহিলা ৪-৫ দিন মিশলে, সিনেমায় গেলে, কফি খেলে প্রেমে পরে যাবেন। একেবারে প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাবেন। এটা আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি। তবে আমি কিন্তু সেই মহিলার হাতও ধরব না’।
ঋতুপর্ণা-রচনা-শতাব্দী সবাই প্রেমে পড়েছিলেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের!
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘ঋতুপর্ণা, লকেট, রচনা, শতাব্দী সিবিআই আমার প্রেমে পড়েছেন। এই কথা যদি কেউ রেকর্ড করে শোনায় তাহলে তারা কিন্তু আমায় মেরেই দেবেম্ম। এখনও পর্যন্ত আমার ৭০০-৮০০ প্রেমিকা হয়েছে। আমার স্ত্রী সবটাই জানান, ওর কাছে কিছুই লুকোনো নেই। এটা ঈশ্বরের উপহার, এই প্রেমিকারা আমার আমৃত্যু থাকবে’।
‘ভিলেন’ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রেমকাহিনী
তাহলে স্ত্রীর সাথে কিভাবে প্রেম? উত্তরে জানান ‘ও তো ৪-৫ দিনের মধ্যেই আমার প্রেমে। পড়েছিল তারপর একবছর টানা আমাকেই ফিল্ডিং করতে হয়েছিল। সেটা কঠিন সময় ছিল, কারণ শেলি টাইফয়েড ভয়ংকর অসুস্থ হয়ে। গিয়েছিল মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিল, সেই সময় আমিই চিকিৎসা থেকে দেখাশোনা সমস্তটা করেছি। সেই করতে গিয়েই প্রেম আর তারপর বিয়ে করে ফেললাম’।