বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনেমার বাজারও বলা হয় ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে। চলতি বছরে বক্স অফিসে রিতিমত তান্ডব চালিয়েছে দক্ষিণী ছবিগুলি। দক্ষিণী ছবি গুলি। এসএস রাজামৌলির ‘ট্রিপল আর’ প্রশান্ত নীলের ‘কেজিএফ-২’ বিশ্বব্যাপী ১০০০ কোটির মাইলস্টোন পার করে গেছে। তেলেগু ছবির এই নজরকাড়া সাফল্য সত্যিই চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। সম্প্রতিকালে ভারতের সবচেয়ে বেশি আয়ের সিনেমায় শীর্ষস্থানে রয়েছে তেলেগু ছবিগুলি। তবে প্রদীপের তলার মতো অন্ধকার চিত্রও রয়েছে। নজরকাড়া সাফল্যর সাথে সাথে ফ্লপ মুভির তালিকাতেও শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে তেলেগু ছবিগুলি।
দীর্ঘদিনের ইতিহাসে ভারতে মুক্তি পেয়েছে শত শত কালজয়ী সিনেমা। এর মধ্যে অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র হলো বলিউড অভিনেতা আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’। বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে সর্বোচ্চ আয়ের নিরিখে এখনও পর্যন্ত শীর্ষস্থানে রয়েছে ‘দঙ্গল’। এরপরেই অবস্থান করছে এসএস রাজামৌলির ‘বাহুবলী দ্য কনক্লুশন’ এবং ‘ট্রিপল আর’। সদ্যই এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে সুপারস্টার যশ অভিনীত ‘কেজিএফ -২’।
প্রসঙ্গত এইসব ছবি যেমন দর্শক-সমালোচককে মুগ্ধ করেছে, মাতিয়েছে বক্স অফিস একইভাবে তীব্র সমালোচনার মুখেও উড়ে গেছে অনেক ছবি। সাফল্যের সাথে সাথে নিয়ে এসেছে চরম ক্ষতিও। এবং পরিসংখ্যান বলছে এক্ষেত্রেও তালিকায় প্রথমে রয়েছে তেলেগু ছবির গুলিই।
চলতি বছর মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছিলো রনবীর সিং অভিনীত ‘৮৩’। কবীর খানের এই সিনেমাটি সাড়া জাগাতে পারে দর্শকদের মনে। প্রায় ৮০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো ছবিটি।
তবে এরপরই মুক্তি পায় প্রভাস অভিনীত রোমান্টিক ড্রামা ‘রাধে শ্যাম’। বলাই বাহুল্য এই ছবিটিও বিশেষ জায়গা করতে পারেনি সিনেমাপ্রেমীদের মনে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ভাষ্যে, সুপারফ্লপ ৮৩ এর চেয়েও পিছিয়ে রাধে শ্যাম। মিডিয়া সূত্রে খবর এই ছবির মোট ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটির বেশি।
‘রাধে শ্যাম’এর পর আরো এক তেলেগু সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে। মেগাস্টার চিরঞ্জীবী এবং পাওয়ার স্টার রামচরণ তেজা অভিনীত এই ছবির নাম ‘আচার্য্য’। ছবিটি আশানুরূপ ফল তো করেইনি উল্টে নিরাশই করেছিলো দর্শকদের। জানা গেছে এই ছবির জন্য নির্মাতাদের প্রায় ৮০ কোটি টাকা ক্ষতির সামনা করতে হয়েছিলো।
সম্প্রতি এই ডিজাস্টারের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বলিউড কুইন কঙ্গনা অভিনীত ‘ধাকড়’। উল্লেখ্য, এযাবৎ কঙ্গনার ৯টি সিনেমা পরপর মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে। ‘পরিচালক রজনীশ গাজির এই স্পাই থ্রিলারের বাজেট ছিলো ১০০ কোটি। কিন্তু বক্স অফিসে দর্শক টানতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয় ছবিটি। কঙ্গনার ‘ধাকড়’ প্রায় ৭০ কোটি টাকার লসের মুখে ঠেলে দেয় নির্মাতাদের। ছবিটি প্রথম দিন থেকেই দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ায় স্যাটেলাইট এবং ওটিটি প্লাটফর্মেও পাচ্ছেনা জায়গা।
এই নিরিখে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড়ো বক্স অফিস ডিজাস্টারের প্রথম পাঁচটির তিনটি বলিউড এবং শীর্ষ দুটিতে অবস্থান করছে তেলেগু সিনেমা।