নিউজশর্ট ডেস্ক: এখন মালদ্বীপ(Maldives) বনাম লাক্ষাদ্বীপের(Lakshadweep)বিতর্ক জমে উঠেছে। বহু মানুষ এই মালদ্বীপের ট্যুর প্ল্যান ক্যান্সেল করে লাক্ষাদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। যদিও এতদিন পর্যন্ত মালদ্বীপের কদর আন্তর্জাতিক স্তরে থাকলেও লাক্ষাদ্বীপ সম্পর্কে বহু মানুষই জানতেন না। তবে এবার এই বিতর্ক শুরু হওয়ার পর ইউরোপ, আমেরিকার বহু পর্যটকও লাক্ষাদ্বীপ সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তবে ভারতের সবচেয়ে ছোট এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার জন্য নানা রকম ট্যুর এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন পর্যটকেরা। কোথায় কত টাকা খরচ? কিভাবে যেতে হয় সমস্ত কিছুই জানার আগ্রহ প্রকাশ করছেন পর্যটকেরা। আগে থেকেই বলে রাখা ভালো ভারতের মধ্যে অন্যতম ব্যয়বহুল পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত তাই এখানে ঘুরতে গেলে বেশ কিছু টাকা খরচ হবে। এই লাক্ষাদ্বীপে পৌঁছানোর জন্যই বেশ অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। চলুন আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হচ্ছে।
আপনাকে ফ্লাইট বুকিং করে লাক্ষাদ্বীপের অজ্ঞাত্তি ও বাঙ্গারাম দ্বীপে পৌঁছাতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্লাইটের ভাড়া অনেক বেশি থাকে এবং বিমানে আসন সংখ্যা অনেক কম থাকে। এছাড়া বিশেষ অনুমতি ছাড়া এই ফ্লাইটে আপনি চড়তে পারবেন না। অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত পর্যটকেরা কোচি থেকে জলপথে কাভারাতিতে পৌঁছতে পারেন। তবে প্রবল বর্ষণের সময় লাক্ষাদীপে পর্যটকের ভ্রমণ বন্ধ থাকে।
তবে সেলিব্রেটি কিংবা বড় ধনী পর্যটকেরা কচি থেকে লাক্ষাদ্বীপে সরকারের থেকে স্পেশাল পারমিট নিয়ে হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে যান। সেক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হয় তা নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন। এখানে থাকবার জন্য সবকয়টি হোটেলে লাক্সারি আর দাম অত্যন্ত বেশি থাকে।
তাও চারজনের একটি পরিবার যদি সাদা বালির এই সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে চান সেক্ষেত্রে মাথাপিছু ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। আগামী দিনে পর্যটকদের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে সেক্ষেত্রে খরচ আরো বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের জন্য প্লেন বা জাহাজের টিকিট অনেক আগে থেকে বুকিং করে রাখতে হয়। এর পাশাপাশি রিসোর্ট এবং হোটেলের টিকিট বুকিং করতে হয়। এর কারণ পারমিটের জন্য সমস্ত নথি জমা দিতে হয়। ১৫ দিন আগে সমস্ত পারমিটের পত্র আপনার কাছে এসে পৌঁছাবে।