চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ, পুজোর ছুটিতে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চলে জন এই অফবিট লোকেশনে, ফ্রেশ হবে মন

নিউজশর্ট ডেস্কঃ আপনি কি ঘুরতে যেতে খুব ভালনবাসেন? দুই-একদিনের ছুটি পেলেই এদিক সেদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। এখন এই ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মধ্যে বারবার এক জায়গায় যাওয়ার পরিবর্তে নিত্যনতুন অজানা অচেনা জায়গা এক্সপ্লোর করতে বেশি পছন্দ করছেন তারা। ইন্টারনেটের যুগে গুগল থেকে এরকম নানা অফবিট লোকেশনের খোঁজ করছেন পর্যটকেরা। আপনাকে আর গুগলে গিয়ে সার্চ করার প্রয়োজন নেই। আজকে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য নতুন একটি অফবিট লোকেশনের(Offbeat Location) সম্পর্কে জানাবো।

আগেই বলে রাখি এই জায়গাটিও দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) আশেপাশেই রয়েছে। এই সৌন্দর্য দেখলে আপনি দার্জিলিং কেউ ভুলে যেতে পারেন। এই অফবিট লোকেশনের কথা এখনো অনেকে জানেন না। এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটির নাম সাকিয়ং। এটিকে ঝর্ণার রাজ্য বলে আখ্যা দিলেও ভুল কিছু হবে না। এখানে ৫০ টিরও বেশি জলপ্রপাত রয়েছে। যেগুলোর সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

একেবারে নিরিবিলি নির্ঝঞ্ঝাট এই এলাকায় একবার গেলেই আর ফিরতে মন চাইবে না। আর একটি কথা, সিকিমেও একটি জায়গা রয়েছে যেটির নাম সাকিয়াং, তবে এটি কিন্তু উত্তরবঙ্গের সাকিয়াং। এখানের ঝরনাগুলো ঠিক পাড়ার গলির মতো। একটা ঝর্ণা যেতে না যেতেই আরেকটি ঝর্না আপনার চোখের সামনে চলে আসবে। কোনটি ছোট, কোনটি মাঝারি, কোনটি আবার অনেকটা বড়।

এই ঝর্ণা পেরিয়ে যেতে যেতে আপনি ময়ূর দেখতে পারবেন। জলে কাঁকড়াও দেখতে পারবেন। ঠিকই শুনেছেন সমুদ্রের কাঁকড়া নয়, পাহাড়ের কাঁকড়া এই কাঁকড়ার সৌন্দর্য আলাদা। একটি ছোট্ট পাহাড়ি নদী রয়েছে, যার ওপর একটি সেতু আছে। এখানে অনেক রকমের প্রজাপতি এসে বসে। আপনি চাইলে এই নদীর জলে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে বসে থাকতে পারেন। যা এক আলাদা অনুভূতি দেবে। এখানে ১০ থেকে ১২ টি বাড়ি রয়েছে তাই এই জায়গাকে বড়গ্রাম না বলে ছোট গ্রাম বলা হয়। এখানে নদীর পাড়ে বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে, যেখানে আপনি রাত্রিযাপন করতে পারেন।

কিভাবে যাবেন?
পেডং থেকে কাগে যাওয়ার পথে মাত্র তিন কিলোমিটার এগোলে পৌঁছে যাওয়া যায় সাকিয়ং। এখানে হোম স্টে গুলির ভাড়া আপনার সাধ্যের মধ্যেই। এখানকার খাওয়ার এটি সুস্বাদু যে আপনার মুখে লেগে থাকবে। তাই এবার দার্জিলিং গেলে একবার ঘুরে আসতে পারেন সাকিয়াং থেকে।

Papiya Paul

X