নিউজ শর্ট ডেস্ক: সময়ের সাথেই ভারতীয়দের মধ্যেও বাড়ছে ব্যবসা করার প্রবণতা। এমনকি নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও চাকরি ছেড়ে ঝুঁকছেন ব্যবসার দিকেই। আজ আপনাদের জানাবো এমনই একটি লাভজনক ব্যবসার কথা। এই ব্যবসায় সপ্তাহে ১ দিন দোকান খুললেই প্রতি মাসে আয় হবে লাখ টাকা। দিনভর লেগেই থাকবে গ্রাহকদের ভিড়।
সবচেয়ে কম পুঁজির এই স্টার্টআপ ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ লাভ করা যায়। জানলে অবাক হবেন অভিনব এই ব্যবসায় (Unique Business) মাত্র ১০ টাকায় কেনা একটি পণ্য ১০০ টাকায় বিক্রি করা যেতে পারে! এই সমস্ত পণ্য গুলির কোনও এমআরপি নেই। কারণ কোনও সংস্থাই এই পণ্যগুলি তৈরি করে না। আর এগুলো যেহেতু বাজারে পাওয়া যায় না, তাই এগুলোর দামের কোনো ঠিক নেই।
প্রথমে সমস্ত জিনিসের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে এবং পুরো তালিকাটি অনলাইনে আপলোড করতে হবে।এই লিস্ট দেখেই গ্রাহকরা জানতে পারবেন কী কী জিনিস পাওয়া যাবে! প্রত্যেক সপ্তাহের রবিবার বিভিন্ন শহরে এই সমস্ত জিনিসের স্টল খোলা হয়। যারা থেকে আপডেট পান তারা এই সমস্ত স্টলে অবশ্যই আসবেন এবং বাকিরাও কৌতুহল বশত প্রতি রবিবার একবার হলেও ঢুঁ মেরে যাবেন এই সমস্ত দোকান থেকে। এই সমস্ত দোকান থেকে কে কখন মূল্যবান দ্রব্য পাবেন তা কেউ জানেন না।
ভারতে এই ব্যবসার বাজার
ভারতে পুরোনো জিনিসের ব্যবসার জন্য মাত্র দুটি জায়গাই রয়েছে! জিনিসপত্র ভালো অবস্থায় থাকলে তা সেকেন্ড হ্যান্ড হিসাবে বিক্রি করা হয়। কিন্তু অবস্থা খারাপ হলে তা স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করা হয়। তবে এছাড়াও রয়েছে আরও একটি বাজার। যা সস্তা জিনিসের খোলা বাজার নামেই পরিচিত। এগুলি ইউরোপে ফ্লি মার্কেট নামে পরিচিত! এই বাজারে সবসময় এমন জিনিস বিক্রি হয় যেগুলোর চাহিদা রয়েছে এবং যেগুলো দরকারি।
আরও পড়ুন: জলের দামে কিনুন আইফোন! চীনা মোবাইল সংস্থাকে হারাতে মুকেশ আম্বানির নতুন চাল
কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই সমস্ত জিনিস বাজারে নয় পাওয়া যায় আবর্জনা হিসেবে।আসুন বিষয়টা একটা সহজ উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক! এই ব্যবসা করতে গেলে লোকজনের কাছ থেকে ফেলে দেওয়া জিনিস কিনতে হবে এবং তা থেকে দরকারী জিনিসগুলি বাছাই করে নিতে হবে এবং অবশিষ্ট জিনিস আবর্জনার মূল্যে বিক্রি করতে হবে।
আরও পড়ুন: এই সস্তার প্ল্যান রিচার্জ করলেই মিলবে ৭০ দিনের ভ্যালিডিটি, সঙ্গে অফুরান ফ্রি ইন্টারনেট!
এইভাবে হাতে এমন কিছু দরকারী জিনিস আসতে পারে যা ভালো দামে বিক্রি করা যেতে পারে। এইসমস্ত জিনিস গুলির মধ্যে রয়েছে অটো পার্টস, ইকুইপমেন্ট, বা কোনো মেশিনের বিশেষ কোনো অংশ ইত্যাদি। এই সমস্ত ফেলে দেওয়া জিনিসের বাজারকে ‘ফ্লি মার্কেট’ বলে। এটি এমন একটি ব্যবসা যেখানে যত বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করা যাবে লাভের পরিমাণ তত বেশি হবে। তাই ব্যবসা বাড়ানোর জন্য কেউ চাইলে সপ্তাহে এক দিনের পরিবর্তে, বড় দোকান খুলে নিয়মিত বসতে পারেন।
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এই ব্যবসায় লাভের কোনো সীমা নেই। ল্যাপটপ থেকে একটি চিপ সরিয়ে ফেললে কিন্তু এর ওজনে খুব একটা পার্থক্য হবে না। কম দামে অবর্জনা হিসাবে কিনে একই দামে বিক্রি করা যেতে পারে! যেহেতু চিপ সরানোর পর ল্যাপটপটির মূল্য শূন্য,তাই গ্রাহকের প্রয়োজন অনুসারে এটি যে কোনও মূল্যে বিক্রি করা যেতে পারে।অনেক সময় অনেক পুরোনো জিনিসও কম দামে বিক্রি হয়। কারণ বিক্রেতা তাদের মূল্য জানেন না। তাই এটি এমন একটি ব্যবসা যেখানে ১০০ টাকায় কেনা জিনিস ১০০০ টাকা বা তার বেশি দামেও বিক্রি করা যেতে পারে!