পার্থ মান্নাঃ হটাৎই দুঃসংবাদ এল টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে। বুকে ব্যাথার জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান অভিনেতা মনোজ মিত্র। যেমনটা জানা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। হটাৎ বাড়াবাড়ি হওয়ায় তড়িঘড়ি থাকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে হাওয়া হয়েছে। এমন একটা খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত বাঙালি ভক্ত তথা দর্শকেরা।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মনোজ মিত্র
ইতিমধ্যেই অভিনেতার মেয়ে ময়ূরী মিত্রর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে। তিনি জানান, বাবা খুবই অসুস্থ, গুরুতর অবস্থাতেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন বাবার হার্ট একেবারে কাজ করছে না। বর্তমানে ওষুধের সাপোর্টে আছেন তিনি। তবে অভিনেতাকে নিয়ে ভুয়ো খবর রটে যাওয়ায় বিরক্তিও প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন আরও জানা যায় এই বছরের শুরুর দিকেই পেসমেকার বসানো হয়েছিল। তার কিছুদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন আবারও সমস্যার কারণে হাসপাতালে তাছাড়া অভিনেতার স্ত্রীও অসুস্থ। ডিমেনশিয়ার রোগী তিনি, কথাও বলতে পারেন না। এর উপর মাত্র ২০ দিন আগেই মারা গিয়েছেন কাকা। তাই সব মিলিয়ে খুবই খারাপ একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বর্ষীয়ান অভিনেতার গোটা পরিবার।
এখন কেমন আছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, চেতনাহীন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল মনোজ মিত্রকে। তবে মাঝে মধ্যে জ্ঞান ফিরছে তখন পরিবারের লোকেদের চিনতে পেরেছেন তিনি। যদিও ডাক্তারের তেমন কোনো আশা দেননি, তবে বর্তমানে ICU তে রাখা হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিনেতার শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে যে কারণে ব্লাড প্রেসার খুবই কম। এখনও বাইপ্যাপ সাপোর্টে আছেন তিনি। আগামী ৪৮ ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ষ্টার জলসার হাত ধরেই ছোটপর্দায় ফিরছেন মাফিন চক্রবর্তী, নতুন মেগার প্রমো দেখেই খুশি ভক্তরা
প্রসঙ্গত, ১৯৫৭ সালে কলকাতার মঞ্চে নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয় মনোজ মিত্রের। প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’ লিখেছিলেন ১৯৫৯ সালে। যদিও প্রথম নাট্য জগতে পা ‘চাকভাঙা মধু’ (১৯৭২) দিয়ে। পরবর্তীকালে ১৯৭৯ সালে প্রথম সিনেমায় দেখা মিলেছিল তার। এরপর থেকে নাটকের দুনিয়া থাকে সিনেমায় নিজের অভিনয় দিয়ে বারেবারে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের।