কেরল নিবাসী দম্পত্তি প্রলসন ও এলিজা দু’জনেই প্রকৃতিপ্রেমী। দুটি মানুষের বরাবরের ইচ্ছে যে, তারা প্রকৃতির কোলেই বাঁচবেন। আর এই ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করতে জঙ্গলের মধ্যেই গাছের উপর বাড়ি তৈরি করে থাকতে শুরু করেন তারা। আর সেই কারণেই ৪০০ বছরের পুরোনো একটি গাছকে বেছে নিয়েছেন তারা।
এই বিষয়ে পলসনের চিন্তাধারা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘‘দীর্ঘ দিন দুবাইতে কাটানোর পর আমি আর আমার বৌ ভারতে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম। আমরা ভারতে যে সময়টা কাটিয়েছিলাম, সেটা যেন আমাদের সন্তানরাও উপভোগ করতে পারে। সেটাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। তার সঙ্গে প্রকৃতির সান্নিধ্যেও থাকতে চেয়েছিলাম আমরা।’’
এদিকে এলজা এই বিষয়ে জানান, ‘‘দুবাইতে আমরা ভালই ছিলাম কিন্তু ভারতের মতো সবুজে ঘেরা প্রান্তর নেই। তাই প্রায়ই আমরা আলোচনা করতাম মুন্নারের ফিরে আসার কথা।’’ জানা গেছে, চারটি সন্তান রয়েছে তাদের। তিন ছেলে এবং একটি মেয়ে। তাদের প্রত্যেকেই প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতন।
সূত্রের খবর, এর আগে তারা দুবাইতে থাকতেন। তবে ভারতের মুন্নারের খুব কাছে দবগিরি নামক জায়গায় একটা জমি কিনেছিলেন তারা। দুবাই থেকে এসে এখানেই ট্রি হাউস বানানোর পরিকল্পনা করেন পলসন এবং এলজা। এর জন্য বেশ ভালো রকমের গবেষনাও করতে হয় তাদের।
এরমধ্যে ৪০০ বছরের পুরোনো একটি কালো জামের গাছের উপর ট্রলি হাউস বানানোর পরিকল্পনা করেন তারা। ১০ ফুট উঁচু দোতলা বাড়িটিতে রয়েছে ৪টি ঘর এবং সাথে অ্যাটাচ বাথরুম। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এতে কোনো কৃত্রিম জিনিস ব্যবহার করা হয়নি।
এমনকি বাড়ির চারপাশের জমিতেই চাষবাসও শুরু করেছেন তারা। বাড়ির একতলা থেকে চোখে পড়ে সুদূর বৃস্তিত চাষের জমি আর দোতলা থেকে চোখে পড়ে পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য। পলসন বলেন, ‘‘যে কোনও পরিবেশপ্রেমী আমাদের বাড়িতে এসে থাকতে পারেন। জঙ্গলের মাঝেই বাড়িতে বানানো খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। আমরা চারপাশটা ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থাও করে থাকি। সবুজে ঘেরা চারপাশ দেখলে মন ভাল হবেই।’’