নিউজ শর্ট ডেস্ক: ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। এখনকার দিনে পর্যটকদের মধ্যে বাড়ছে অফবিট জায়গায় যাওয়ার হুড়োহুড়ি। তাই শুধু উত্তরবঙ্গ নয় দক্ষিণবঙ্গেও বাড়ছে পর্যটকদের ভীড়। তাই দক্ষিণবঙ্গের জনপ্রিয় পর্যটন স্থলগুলির মধ্যে অন্যতম হলো এই লালমাটির দেশ পুরুলিয়া (Purulia)। বিশেষ করে দুর্গা পুজোরপর থেকে গোটা শীতের মরসুম পুরুলিয়ায় ভীড় জমান হাজার হাজার পর্যটক।
এখনাকার অযোধ্যা পাহাড় আর মনোরারম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের টানেই বার বার ছুটে যান ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা। বিশেষ করে এই বসন্তকালে শিমুল পলাশের আগমনের সাথে সাথে পুরুলিয়ার সৌন্দর্য্য যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়। সবমিলিয়ে এখনকার দিনে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই পুরুলিয়া।
তাই বর্তমানে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা পুরুলিয়াকে বাংলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র গুলির মধ্যে অন্যতম বলে মনে করেন। এই কারণেই রাজ্যবাসীর কাছে পুরুলিয়ার এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবার এক দারুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। যাতে করে এবার আর পুরুলিয়ায় গিয়ে পর্যটকদের থাকার চিন্তা করতে হবে না।
আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশেই পুরুলিয়ায় এবার ইকো স্টে তৈরী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বলে রাখি, এই ইকো স্টে আসলে হোমস্টে (Homestay)। তবে ইকো স্টে-তে থাকার জন্য পর্যটকরা বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলেন যা পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না। বিশেষ এখানে পলিথিন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: চিন্তা ছাড়ুন! কলকাতা থেকে আগরতলার ৩১ ঘন্টার দূরত্ব এখন মাত্র ৫ ঘন্টায়
পুরুলিয়া জেলার পর্যটন শিল্পের এই রমরমা দেখে ইতিমধ্যেই ৩০ টি হোমস্টেকে সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ দেখে জেলা প্রশাসনের তরফে আরো হোমস্টে বৃদ্ধির করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এখনকার দিনে পর্যটকদের মধ্যেও হোটেল ছেড়ে হোমস্টেতে থাকার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
কারণ এই হোমস্টে গুলিতে সকলেই একেবারে ঘরোয়া ভাবে থাকতে পারেন। আগামী দিনে পুরুলিয়ায় হোমস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পর্যটকদের হয়রানি কমার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা বাড়লে পর্যটকদের খরচও অনেকটাই কমে যাবে।