নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাড়তে থাকা দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম যে জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে সাধারণ মানুষের। তার উপর জ্বালানি দামে টিকে থাকা দায় হয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের। এমতাবস্থায় ত্রাতার ভূমিকায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার অপেক্ষায় রয়েছে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সাপ্লাই চালু হওয়ার জন্য।
নবান্নে বৈঠকে GAIL-র প্রতিনিধি ও রাজ্যের মুখ্য সচিব
যদি পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ চালু করা হয় তাহলে বাড়িতে তো বটেই, খাওয়ার হোটেল-রেস্তোরায় সহজেই গ্যাস পৌঁছে দেওয়া যাবে। এছাড়া গাড়ি বা অটোতে CNG এর ব্যবহার তো থাকছেই। সম্প্রতি মর্মেই নবান্নে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা GAIL এর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। এদিনের মূল আলোচনা ছিল বাড়তে থাকা রান্নার গ্যাসের দাম থেকে গরিব মধ্যবিত্ত পরিবারকে রেহাই দেওয়া।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান শীঘ্রই পাইপ লাইনের মধ্যেমে ন্যায্য দামে বাংলার প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই যাই প্রকল্পের নামকরণও করা হয়ে গিয়েছে, নাম হল ‘সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট’। জানা যাচ্ছে প্রায় ২৪৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা GAIL এই প্রকল্পের জন্য পাইপলাইন তৈরী করবে। আর যদি সব ঠিক থাকত তাহলে খুব শীঘ্রই LPG বা CNG এর থেকেও সস্তায় গ্যাস পাওয়া যাবে পশ্চিমবঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ বাতিল ১৫ই আগস্টের ছুটি! উপস্থিত না হলেই কড়া শাস্তি, নির্দেশিকা জারি সরকারের
LPG ও CNG এর থেকেও সস্তায় রান্নার গ্যাস
তবে শুরুতেই গোটা রাজ্যে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ চালু করা হবে না। প্রাথমিকভাবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা আর নদীতে এই প্রকল্প চালু করা হবে। পরবর্তীকালে পাইপলাইন সম্প্রসারণ হলে গোটা রাজ্যেই পাইপের সাহায্যে ন্যায্য দামে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তিন জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানে জমি সমস্যার জেরে আটকে রয়েছে পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ। এদিনের বৈঠকে GAIL এর প্রতিনিধিদের তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সেই সমস্যা দ্রুত সমাধান করার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা।