খরচ কম, আনন্দ প্রচুর, এই অজানা নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরতে গেলে ফিরে পাবেন মনের শান্তি

নিউজশর্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গ মানে শুধু দার্জিলিং(Darjeeling) নয়। দার্জিলিং-এর আশেপাশে প্রচুর সুন্দর সুন্দর ঘোরার জায়গা আপনি দেখতে পাবেন। পাহাড় বলতে শুধুমাত্র দার্জিলিং না ভেবে এবার ঘুরতে গেলে অন্য অজানা লোকেশানে(Offbeat Location) একবার ঘুরে দেখতে পারেন। আজকের এই প্রতিবেদনে সিকিমের এক অজানা অচেনা গ্রামের সম্পর্কে আপনাদেরকে তথ্য দেব।

উত্তরবঙ্গের সীমানা পেরোলে সিকিমে যখন প্রবেশ করা হয় তখন এক আলাদা রকমের স্বর্গীয় অনুভূতি হয়। হিমালয়ের কোলে এই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এখানে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। তবে আপনি যদি ভিড় এড়িয়ে একদম নির্জন নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান তাহলে চলে আসুন পশ্চিম সিকিমের(West Sikkim) এই অফবিট গ্রামে। এই জায়গাটির নাম চ্যাং(Sang)। নামটি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এই ধরনের নাম এই জায়গার মানুষদের ভাষার বিশেষত্ব।

এই জায়গার চারিদিক শুধু সবুজে ঘেরা নির্জন এবং নিরিবিলি। পশ্চিম সিকিমের ছাঙ্গু, নাথুলা এইসব জায়গায় প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখা গেলেও এই চ্যাং-এ সেভাবে প্রকৃতির রুদ্ররূপের দেখা মেলে না। নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে এই এলাকায় একবার চলে আসতে পারেন। এই নতুন জায়গা সম্পর্কে এখনো পর্যটকেরা ওয়াকিবহল হয়নি, বলতে গেলে ভ্রমণ মানচিত্রে একেবারে নতুন জায়গা চ্যাং।

এখানকার লোকজনদের প্রধান জীবিকা হল চাষবাস। গ্রাম্য পরিবেশের থাকার মত উপযুক্ত মাত্র দুটো হোমস্টে রয়েছে এখানে। প্রত্যেকজনের বাড়িতে জমি জমা আছে। তারা পালা করে একে অপরের জমিতে চাষ করে। এইসব জমিতে আলু, ফুলকপি, স্কোয়াশ, ধান, বাঁধাকপি, নানা রকমের সবজির চাষ করা হয়। এই সবুজ ক্ষেত থেকে সবজি তুলে এনে সেই সবজি দিয়ে রান্না করে থাকে। এখানে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ একেবারেই নিষিদ্ধ তাই একদম টাটকা শাকসবজি স্বাদ পাওয়া যায়।

সকালবেলা উঠেই আপনি আপনার হোমস্টের বারান্দা দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন করতে পারবেন। এরপর আপনি হাঁটতে হাঁটতে গ্রামের চারিদিকটা ভালো করে ঘুরে দেখতে পারেন। এখানে গেলে সিকিমের নানা অজানা খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন আপনি। এর সাথে এখানে অসংখ্য নাম না জানা পাখির দেখা মিলবে। যারা পাখি দেখতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই জায়গা একদমই পারফেক্ট। তাই চাইলে পুজোতে নির্জনে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে এই জায়গায় চলে আসতে পারেন।

কিভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি থেকে রংপো হয়ে সিংটাম ভ্যালি গিয়ে সেখান থেকে সাং আসতে হবে। এখানে যেতে হলে আপনাকে একটু অন্যরুটে যেতে হবে। খরচ অল্প হলেও এই জায়গার আলাদা অনুভূতি দেখতে পাবেন আপনি।

Papiya Paul

X