নিউজশর্ট ডেস্কঃ যতদিন এগোচ্ছে সোনার দাম ততই হু হু করে বাড়ছে। আর এর ফলে সোনা কেনা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে সাধারণ মধ্যবিত্তের। প্রায় প্রত্যেক দিনই সোনার দাম নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই সোনার দাম(Gold Price) প্রত্যেক ১০ গ্রামে প্রায় ৭ হাজার টাকা বেড়েছে।
মূলত রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন ফেডারল রিজার্ভের তথ্যপ্রকাশের পরে দাম বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধের কারণে সোনার দাম আরো বাড়বে অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে আগামী দিনে সোনার দাম আরো বাড়তে চলেছে। সোনার দামের রেকর্ড আরো উপরে উঠতে পারে।
এবার অনেকেরই মনের প্রশ্ন হচ্ছে সোনার দাম কত বাড়তে পারে? সিএনবিসি-র আওয়াজ রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে সোনার দাম পৌছে যেতে পারে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকায়। বিনিয়োগকারীরাও সোনার দাম যেহেতু বেশি তাই সেখানেই অর্থ বিনিয়োগ করছেন। এর ফলে ডলারের মূল্য কমছে। এতে করে সোনার দামের সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হতে চলেছে ২০৩০ সালে। সেই সময় আর সাধারণ মানুষ সোনা কিনতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: Bhutan: একবারে ফ্রি’তে ঘুরতে পারবেন ভুটান! জেনে নিন কিভাবে বিনামূল্যে ঘোরা যাবে ৭ দিন?
এই প্রসঙ্গে কেউ যদি সোনাতে অর্থ বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে আরবিআই-এর সভরেন গোল্ড বন্ড খুবই ভালো একটি উপায় হতে পারে। এখানে সোনা কিনে বিনিয়োগকারীরা ৮ বছরের জন্য রেখে দিতে পারেন। এরপর ম্যাচুরিটির সময় একটা মোটা অংকের টাকা রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। এখানে প্রায় ২.৫% রিজার্ভ সুদ পাওয়া যায় এবং মার্কেটে হিসেবে বাকি রিটার্ন পাওয়া যায়।
ভারতের বাজারে প্রত্যেক ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭৩০০০ টাকা ছাড়িয়েছে। ২৪ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম ৭৩৫৯৬ টাকা। এই ইজরায়েল এবং ইরান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সোনার দাম অনেকটাই এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে এবং আগামী দিনে আর পাঁচ বছরের মধ্যে সোনার দাম যে আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে এবং সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে তা বলাই বাহুল্য।