টেলিদুনিয়ায় এখন ভালোই নাম কুড়িয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Ichhe Putul)। সিরিয়ালের প্রতিটি পর্বেই রয়েছে হাই ভোল্টেজ ড্রামা। একটা মুহূর্তের জন্যেও চোখ সরাতে পারছেনা দর্শকরা। বিশেষ করে মেঘ (Megh) যেদিন থেকে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে সেদিন থেকেই সিরিয়ালটি ভীষণ পছন্দের হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে।
সিরিয়ালটির নিয়মিত দর্শকরা জানেন যে, ছোট থেকেই বোন মেঘকে সহ্য করতে পারেনা ময়ূরী। আর সেই কারণেই একটার পর একটা চক্রান্ত করে চলেছে মেঘের বিরুদ্ধে। তবে কথায় আছে না, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতেই হয়। আর ঠিক সেটাই হয়েছে মেঘের ক্ষেত্রেও। এতদিন সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করে নিলেও এবার সে গর্জে উঠেছে।
এর আগে পর্যন্ত ময়ূরী নিজের ইচ্ছেমত মেঘকে নাচিয়ে যেত। পুতুল খেলার মত খেলত মেঘকে নিয়ে। তবে বিগত কয়েকদিনে মেঘ দেখিয়ে দিয়েছে যে সে কোন পুতুল নয়। নীরবতাকে যারা দূর্বলতা মনে করে তারা যে আসলে বোকামি করে সেটা সে ভালোমতোই বুঝিয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দর্শক দেখেছেন পুলিশের সাহায্য নিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্টের সাহায্যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছে মেঘ।
যদিও এতেও মেঘের শ্বশুরবাড়ির বেশিরভাগ মানুষই মেঘের বিরুদ্ধেই আছে। বেশিরভাগ মানুষই এটা মনে করছে যে, মেঘ ময়ূরীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে ভুল ভেঙেছে নীলের। যদিও ইতিপূর্বে নীল একবারও মেঘকে বোঝার চেষ্টা করেনি। বরং সে এটা বলেছে যে, মেঘকে বিয়ে করাটা নাকি তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। বিদেশে ঘুরতে যাওয়া ক্যান্সেল হয়ে যাওয়ায় প্রচুর টাকাও নষ্ট হয়েছে বলে নীল খুব খারাপ ব্যবহার করছে মেঘের সাথে।
এমনকি মেঘের অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে এটা ধারণা করে তার গায়েও হাত তুলতে গিয়েছে নীল। আর এই সব আঘাতই মুখচোরা মেঘকে প্রতিবাদী করে তুলেছে। আর তাই তো সবটা প্রমাণ করতে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে এসেছে মেঘ। সকলের সামনে দেখিয়ে দিয়েছে পাসপোর্টে ময়ূরীরও হাতের ছাপ রয়েছে।
এখানে থেমে থাকেনি সে। মেঘ নীলকে ছেড়ে তার বাবার কাছে চলে যেতেই অপরাধবোধে ভূগতে শুরু করেছে নীল। ফোন করেও উত্তর না পেয়ে সে নিজেই চলে গেছে মেঘকে ফিরিয়ে আনতে। তবে এদিন মেঘ নীলকে বুঝিয়ে দিয়েছে ক্ষমা চাইলেই পাওয়া যায় না। আর মেঘের এই নতুন রূপ দেখে বেজায় খুশি দর্শকরাও।