কথায় আছে জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে এই তিনটিই বিধাতার হাতে। উপরওয়ালা নাকি আমাদের জীবনসঙ্গী নাকি ঠিক করেই পাঠান। আর আজ আপনাদের এমনই একটি অনন্য বিয়ের কথা বলব যা শুনলে আপনিও বলবেন যে, এটি ঈশ্বর বানিয়েছেন। আর সম্প্রতি এই ছবিটিই ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আজ যে ঘটনার কথা বলছি সেটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জলগাঁও শহরে। যেখানে বরের উচ্চতা ৩৬ ইঞ্চি এবং কনের উচ্চতা মাত্র ৩১ ইঞ্চি। আর এই দম্পত্তির বিয়ে দেখে মানুষ এটাই বলছে যে, সত্যিই এদের ঈশ্বর তৈরি করে পাঠিয়েছেন। আর তার সাথে মানুষ দারুন পছন্দও করেছে তাদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,বরের নাম সন্দীপ সাপকালে এবং কনের নাম উজ্জ্বলা। যদিও সন্দীপের বাবা মায়ের উচ্চতা স্বাভাবিক। তবে সন্দীপের আর কোনো ভাই বোন নেই। এদিকে উজ্জ্বলার কথা বললে তার বাবা মায়ের উচ্চতাও স্বাভাবিক। তবে তার পরিবারে আরো তিন বোন এবং এক ভাই রয়েছে। এবং তারা সবাই স্বাভাবিক উচ্চতার।
যদিও এই বিয়েটা এতটাও সহজ ছিলনা। যখন দুই পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তখনই একে অপরের সন্ধান পায়। এরপর সন্দীপের বাড়ি থেকে কোনো আপত্তি না থাকলেও আপত্তি জানায় উজ্জ্বলার পরিবারের মানুষজন। আসলে সন্দীপ আদৌ উজ্জ্বলার দায়িত্ব নিতে সক্ষম হবে কি না সেটা নিয়েই চিন্তিত ছিলেন সবাই।
তবে পরবর্তী সময়ে সন্দীপের বাবা মা জানায়, তারা উজ্জ্বলাকে নিজের মেয়ের মতোই যত্ন করবে। এরপর উভয় পরিবারই এই বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। বলে রাখি, সন্দীপ দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। এবং সে শহরের একটি বিখ্যাত সোনার দোকানে কাজও করেছে।
বিয়ের পর সন্দীপ বলে, ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে আমার উচ্চতার একটি মেয়ে পেয়েছি। আমি উজ্জ্বলাকে খুব সুখে রাখবো।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রচুর মানুষ উপস্থিত হয়েছিল এই অভিনব বিয়েতে। মানুষ তো তাদের ‘রব নে বানাদি জোড়ি’ বলেও ডাকতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ট্রেন্ডিং-এ চলে এসেছে সন্দীপ উজ্জ্বলার বিয়ে।