অফবিট,ভারত,গুগল,সুন্দর পিচাই,গুগলের সিইও,অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী Sundar Pichai,Google,Google CEO,India,Offbeat,Inspirational Story

সারা বছরের বেতন দিয়ে ছেলেকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন বিদেশে, আজ সেই ছেলে ৯ হাজার কোটি টাকার মালিক

ভারতের (India) এমন কিছু প্রতিভাবান ব্যক্তি রয়েছেন যাদের জীবন কাহিনী শুনলে অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। এমনই এক জনপ্রিয় ব্যক্তি হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানি গুগলের সিইও (Google CEO) সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai)। আজকের এই প্রতিবেদনে সুন্দর পিচাইয়ের জীবন কাহিনী ও তার সাফল্যের গল্প সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) এই ছেলেটাই বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানির সিইও হয়ে উঠেছেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কোন কাজই অসম্ভব নয়, যদি মনের ইচ্ছে থাকে, তাহলে কাজে সাফল্য আসবে।

তামিলনাড়ুর একটি ছোট গ্রামে ১৯৭২ সালের ১২ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম রঘুনাথ পিচাই ও মায়ের নাম লক্ষ্মী। তার বাবা একজন বৈদ্যুতিক কর্মী ছিলেন। আর তাকে দেখে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আগ্রহ জন্মায় সুন্দর পিচাইয়ের। তিনি যখন মাত্র ১২ বছর বয়স তখন তার বাবা এটি ল্যান্ডফোন বাড়িতে নিয়ে আসেন। সুন্দর পিচাই এর একটা বিশেষ গুণ ছিল যে তিনি তাঁর টেলিফোনের ডায়াল করা সমস্ত নম্বরে মনে রাখতে পারতেন। এমনকি এই নম্বরগুলো তাকে এখনো জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ঝরঝরিয়ে সেগুলি বলে দিতে পারেন।

শুধু ফোন নম্বরই নয়, যেকোনো ধরনের নম্বরকে সনাক্ত করতে পারেন খুব সহজেই। তিনি পড়াশোনায় অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। সুন্দর পিচাই জওহর বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর চেন্নাইয়ের স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপরে আইআইটি খড়গপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। সেখানে গিয়েও সবার মধ্যে সেরা হয়েছিলেন সুন্দর পিচাই। আর সেই জন্য রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। এরপর আরও পড়াশুনা করার জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর এমবিএ করার জন্য পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

তিনি প্রথম ২০০৪ সালে গুগলে যোগ দেন। এখানে প্রথমে তিনি গুগল সার্চ টুলবারে একটি ছোট দলের সঙ্গে কাজ করছিলেন। এরপর তিনি তার নিজস্ব ইন্টারনেট ব্রাউজার তৈরি করার জন্য একটি নতুন ধারণা আনেন। এরপর তিনি এই কোম্পানির সকল কর্মীদের রাজি করানোর পর গুগল ক্রোম নামে তার নিজস্ব একটি ওয়েব ব্রাউজার চালু করে। বর্তমানে এই গুগল ক্রোম বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ওয়েব ব্রাউজার। এটাই ছিল গুগলের তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।

এরপরই গুগলের সিইও হওয়ার অফার আসে তার কাছে। যদিও তার আগে মাইক্রোসফ্ট এবং টুইটার থেকে অফার পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গুগল তার নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দেখে তাকে ওই কোম্পানিগুলোর থেকে অনেক বেশি টাকা দিয়ে নিজের কোম্পানিতে নিয়ে নেয়। এরপর ২০১৫ থেকে গুগলের সিইও পদে নিযুক্ত করা হয় সুন্দর পিচাইকে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তাকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য প্লেনের ভাড়া যোগাড় করার জন্য তার বাবা এক বছরের বেতন দিয়ে দিয়েছিলেন। সুন্দর পিচাইয়ের সাফল্যের কাহিনী সত্যিই অনুপ্রেরণা যোগ্য।

Papiya Paul

X