নগ্নতাই যেন তার সাফল্যের মূলমন্ত্র। যত দিন যাচ্ছে ততই কমছে উরফির পরনের কাপড়ের পরিমান। এবার তো সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়েই ক্যামেরার সামনে চলে এলেন তিনি। দিন কয়েক আগেই প্রকাশ্য রাস্তায় ক্যামেরার সামনেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল গোপনাঙ্গ। তাতেও শিক্ষা হয়নি তার। সম্প্রতি ফের অশ্লীল ছবি শেয়ার করে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
আজকাল তো তাকে ‘পেশাদার অসভ্য’ বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন মানুষ। অশ্লীল নগ্নতা আর বোল্ড লুক যে এক নয় তা কে বোঝাবে উরফিকে? প্রায় কিছু না পরেই যখন তখন রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তিনি। প্রথম প্রথম অনেকে তাকে সাহসী বলে অভিহিত করলেও বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ মানুষের কাছে তিনি অসভ্য, কুরুচিপূর্ণ একজন মহিলা।
অভিনয় দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলেও বর্তমানে সে সব অতীত। এইমুহুর্তে নগ্নতাই হয়ে উঠেছে তার সাফল্যের চাবিকাঠি। আর তার জন্য যতটা সীমাই ছাড়াতে হোক না কেন, তাতেও তিনি রাজি। সম্প্রতি দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এভাবেই সীমা অতিক্রম করেছেন উরফি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেছেন তিনি। আর তা দেখেই সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে দর্শকদের।
উরফির শেয়ার করা এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মেরুন রঙের একটি লেহেঙ্গা পরে রয়েছেন তিনি। তার সাথে পরেছেন মানানসই কানের দুল, করেছেন মেকাপও। কিন্তু উর্ধাঙ্গ সম্পূর্ণ খালি। হ্যাঁ, ওপরে ব্লাউজ পরেননি তিনি। উর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত রেখে শুধুমাত্র হাত দিয়ে গোপনাঙ্গ ঢেকে ক্যামেরার সামনে এসেছেন উরফি।
হরেক রকম প্রদীপ সাজিয়ে তার সামনে বসে একটি বড়োসড়ো লাড্ডুতে কামড় বসাতে দেখা গিয়েছে তাকে। ভিডিওর ক্যাপশনে সবাইকে জানিয়েছেন দীপাবলির শুভেচ্ছা। তবে তার এই ভিডিও মোটেও ভালভাবে নেননি নেটনিগরিকরা। দীপাবলির মতো একটা শুভক্ষণে এরকম নোংরামিটা না করলেই পারতেন–এমনটাই বক্তব্য নেটিজেনদের। উরফিকে শুভেচ্ছা জানানো তো দূরে থাক তার তুলোধুনো করতেই ব্যস্ত সবাই।
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন
কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘উরফি যে ধরণের পোশাক পরেন সেটা সম্মান করেন তিনি। কিন্তু উৎসবের দিন তো নূন্যতম সম্মান জানিয়ে ভদ্রস্থ কিছু একটা পরতেই পারতেন’। আরেকজন অভিযোগ করেছেন, ‘সংষ্কৃতি নষ্ট করার অধিকার তাঁকে কেউ দেয়নি’। যদিও উরফি থোড়াই এসব পাত্তা দেওয়ার পাত্রী। সে তো এভাবেই মানুষের অ্যাটেনশন পেতে চায়। নেগেটিভ হোক বা পজেটিভ, পাবলিশিটি পেলেই উরফি খুশি।