নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে গ্রাম হোক কিংবা শহর চারদিকেই পরিবেশ দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন করাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিবেশ দূষণের কারণেই নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে গোটা প্রাণীজগৎ। স্বাস্থ্যের ক্ষতিত বটেই সেই সাথে বাড়ছে ত্বকের সমস্যা কিংবা চুল পড়া মত সমস্যাও (Hair Problem)।
তাই অকালে চুল ঝরে পড়ার (Hair Loss) হাত থেকে বাঁচার জন্য সূর্যের আলো, রোদ-বৃষ্টি থেকে চুল সুরক্ষিত রাখা দরকার। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, ধুলো-বালি ইত্যাদিতে চুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাছাড়া ভেজা চুল নিয়েও খুব সতর্ক থাকা উচিত। খুব জোরে তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে চুল মোছা উচিত নয়। শ্যাম্পুও করা উচিত খুবই হালকা হাতে।
তাছাড়া কখনই ভেজা চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানো উচিত নয়। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে প্রথমেই বেছে নিতে হবে সঠিক শ্যাম্পু। তবে সেটা অবশ্যই নির্ভর করবে চুলের ধরনের ওপর। চুল মসৃন এবং নরম রাখতে চুলে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তবে চুলে যদি স্টাইল করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই ভালো মানের মুজ,জেল,সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন।
তাই এক্ষেত্রে সস্তার জিনিসের প্রতি না ঝোঁকাই ভালো। তাছাড়া চুল ভালো রাখতে চাইলে কখনই চুলে খুব বেশি হিট দেওয়া উচিত নয়। ব্লোয়ার,আয়রন কিংবা হেয়ার স্ট্রেইটনার সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। খুব ভালো হয় যদি সপ্তাহে অন্তত একদিন তেল দিয়ে মাথায় মালিশ করতে পারেন। তার জন্য দু’চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে স্কাল্পে ম্যাসাজ করলে তা খুবই উপকারী।
আরও পড়ুন: কম পয়সার জিনিসে বিরাট কামাল, শুধু রান্না নয়, এই ৫ কাজেও নুন লাগে
স্নানের দু ঘন্টা আগে আগে এইভাবে তেল মেখে ম্যাসাজ করার পর শ্যাম্পু করে নিন। তবেচুল ভালো রাখতে শুধু ঘরোয়া টোটকা মেনে চললেই হবে না, জোর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়াতেও। রোজ অন্তত দুটি ফল খেতে হবে। খাবার পাতে রাখুন মাছ। সেইসাথে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও পান করতে হবে। সেইসাথে রোজ নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যিক। কারণ ঘুমের সময়েই আমাদের সমস্ত কোষ মেরামতের কাজ চলে।