রাজনীতি হোক কী ফিল্মি গসিপ, সমস্ত বিষয়েই নিজের বক্তব্য রাখতে পিছপা হননা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)। যেমন সম্প্রতিই দেবশ্রী রায়কে নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে নেটিজেনদের রোষানলে চলে এসেছেন তিনি। বিনোদনের সঙ্গে যেভাবে রাজনীতি মিলিয়েছেন তাতে অবাক হয়েছেন অনেকে।
দিনকয়েক আগেই দেবশ্রী রায় মন্তব্য করেছেন যে, চলতি বছরের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল মিঠুনকে আমন্ত্রণ না করা গোটা ফিল্মি দুনিয়ার অপমান। আর এই মন্তব্যের থেকে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত জানিয়েছেন বারাসাতের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ।
তিনি বলেন, “তার মত সে বলতেই পারে। আমি যতদূর জানি তিনি এখন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন, তাই মুক্ত মনে তিনি তার কথা বলেছেন।” আর চিরঞ্জিতের মুখে এই কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দর্শকমহল। অনেকেই বলেছে, ফিল্মি কেরিয়ারে বড় কিছু করতে না পেরে রাজনীতিতে খুঁটি শক্ত করার চেষ্টা করছে।
তবে এখানেই শেষ নয়, চিরঞ্জিত মিঠুনকে নিশানা করে আরো বলেন, “একটা জিনিস তো থাকবেই। আপনি যদি আমাকে গালাগালি করেন, তবে আমি আমার মেয়ের বিয়েতে আপনাকে নিমন্ত্রণ করব না। এখানেও বিষয়টা একই রকম।” এর উত্তরে এক নেটিজন বলেছেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য কতটা নিচে নেমে গেলে চিরঞ্জিৎ এরকম মন্তব্য করতে পারেন!’
আসলে চলতি বছরের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নবীন তারকারা আমন্ত্রিত থাকলেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। আর তা নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ ওঠে শাসকদলের ‘ক্যান্সেল কালচার’ মনোভাব নিয়ে।
এই প্রসঙ্গে শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক দেবশ্রী বলেন, “রাজনৈতিক কারণে হয়তো মিঠুনদাকে ডাকা হয়নি। আমি মিঠুনদার সঙ্গে অনেক কাজ করেছি, শিল্পী হিসেবে ওনাকে আমি শ্রদ্ধা করি। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের কোনও রাজনৈতিক রং থাকা উচিত নয়। ভারতীয় এবং বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাদের অবদান আছে, তাদের ডাকা উচিত ছিল।”