পৃথ্বিরাজ,বলিউড,বিনোদন,অক্ষয় কুমার,মানুষী চিল্লার,দর্শক প্রতিক্রিয়া,Prithviraj,Bollywood,Entertainment,Akshay Kumar,Manushi Chillar,Audience Review

Moumita

অক্ষয়ের কেরিয়ারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’, দর্শকদের মন জিততে পারল খিলাড়ি কুমার!

বলিউডের বহুল চর্চিত অক্ষয় অভিনীত ছবি পৃথ্বীরাজ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আজ। চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী পরিচালিত ছবিটি মধ্যযুগীয় কবি চাঁদ বারদাই-এর মহাকাব্য ‘পৃথ্বীরাজ রাসো’ অবলম্বনে নির্মিত। ছবিতে সম্রাট পৃথ্বীরাজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমার, আর তার বিপরীতে সম্রাটের স্ত্রী সংযোগীতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মানুষি চিল্লার‌। ছবির ট্রেলার এক ঝলক দেখে যা বোঝা গেছিলো যে মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে সম্রাটের সম্মুখ সমর, দেশের জন্য তাঁর গর্বে, দেশকে বিদেশি শত্রুর হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন পৃথ্বীরাজ। বহু প্রতীক্ষিত এই ছবিটি মুক্তির পরই প্রশংসা এবং সমালোচনা দুটোরই ঝড় বয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

   

বলিউড অভিনেতা সুনীল শেঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিবাদন জানিয়েছেন সম্রাট পৃথ্বীরাজের পুরো টিমকে। বেল বটমের পরিচালক রঞ্জিত এম তেওয়ারি অক্ষয় এবং মানুষীর ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছেন, “দারুন চিত্রনাট্য, পৃথ্বিরাজ-এর মাধ্যমে যেন ইতিহাসকে জীবন্ত দেখলাম, এটি একটি সৌভাগ্যের বিষয় ছিল। বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগনও তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অক্ষয়-মানুষীকে।

বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছেন, “সম্রাট পৃথ্বীরাজ একটি বড় উদ্যোগ যা শুধুমাত্র বড় পর্দায় উপভোগ করা উচিত। আমার বন্ধু অক্ষয় কুমার এবং পুরো সম্রাট পৃথ্বীরাজ টিমকে আমার শুভেচ্ছা।’

দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার কথা বলা হলে কেউ কেউ মানুষী-অ ক্ষয়ের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন ‘এই জুটি আরও উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে।’

আরুষ এ কে নামক এক ব্যক্তি নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লিখেছেন, “অক্ষয় কুমার আমাদের আইডল। আর তার ছবি পৃথ্বীরাজ দেখার জন্য আমাদের সংস্থা থেকে ৪ জুন বিশেষ ছুটির ব্যবস্থা করেছি। এর সাথে সাথে আমাদের কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জন্য রয়েছে ফ্রী টিকিটও।”

একদিকে অক্ষয় কুমারের ভক্তরা যেমন প্রশংসা থামাতে পারছেনা অপরদিকে কিছু মানুষ সিনেমাটির খুঁত খুঁজে বের করতেও পিছপা হচ্ছেন না। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ছবির চিত্রনাট্য বড্ডো বিক্ষিপ্ত, গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলিই নেই ছবিতে, যুদ্ধের সিকোয়েন্সগুলিও অত্যন্ত নিম্নমানের।”

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই দশক ধরে রিসার্চ করার পর এই ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক, এক সাক্ষাৎকারে সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন চন্দ্রপ্রকাশ। পরিচালকের কথায়, সম্রাট পৃথ্বীরাজ আমার স্বপ্নের প্রকল্প। এটি এমন একটি চিত্রনাট্য যা আমি দীর্ঘ, দীর্ঘ সময় ধরে লালন করেছি নিজের মধ্যে। কারণ এই পরাক্রমশালী এবং কিংবদন্তি রাজার উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের চেষ্টা করার আগে আমার ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন ছিল। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, পৃথ্বীরাজের চূড়ান্ত গবেষণায় আমাকে সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট হতে প্রায় ছয় মাস সময় লেগেছিল।”

অন্যদিকে, পৃথ্বীরাজে অভিনয় প্রসঙ্গে আক্কি জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৩০ বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে এই ধরণের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। পৃথ্বীরাজের মতো ছবিকে অক্ষয় ‘Educational Film’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। মোটের উপর ছবিটি মুক্তির প্রথম দিনে ভালো, খারাপ মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে দর্শকদের কাছ থেকে। ছবিটি দর্শকদের মনে কতটা জায়গা করতে পারবে তা তো সময়ই বলবে।