এতদিন ধরে স্টার জলসার যে সিরিয়ালটি মানুষের বিরক্তির কারণ ছিল এবার সেটিই হয়ে উঠেছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। লীনা গাঙ্গুলী যেভাবে ‘গুড্ডি’র প্লট লিখছেন তাতে আগ্রহ জাগাটাই স্বাভাবিক। শিরিন-অনুজ-গুড্ডির লাভ ট্রায়াঙ্গেলে ঢুকে পড়েছে নতুন চরিত্র যুধাজিৎ।
‘গুড্ডি’র স্ট্রাগলে তার সাথ দিতে চায় জিৎ। জিৎ-র বিশ্বাস, একদিন তার ভালোবাসায় গুড্ডি সাড়া দেবেই। সে চায় এবার গুড্ডির স্ট্রাগলের অবসান হোক এবং গুড্ডি মন দিয়ে পড়াশোনা করুক। জিৎ-র মা-ও গুড্ডিকে খুব পছন্দ করেছেন। তবে এই সুখবরে সবাই খুশি হলেও, অনুজ মোটেও খুশি নয়।
যারা নিয়মিত ধারাবাহিকটি ফলো করছেন তারা তো জানেনই যে, বিয়ের খবর শুনে পাগলের মত হয়ে গেছে অনুজ। সবার সামনে গুড্ডিকে অপমান করলেও ভেতরে ভেতরে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। আর এই অবস্থায় গুড্ডিও তাকে দিয়েছে কড়া শর্ত। হয় সে সবার সামনে সত্যিটা বলবে আর নয়তো, গুড্ডির বিয়ে চুপচাপ মেনে নেবে।
এদিকে গুটিগুটি পায়ে চলে এসেছে আশীর্বাদের দিনও। সবাই সেজেগুজে পৌঁছে গেছে যুধাজিৎ-র বাড়িতে। সেখানে গুড্ডি সবাইকে চা বানিয়ে খাওয়ায়। আর ঠিক তখনই এন্ট্রি নেয় অনুজ এবং শিরিন। শিরিন জানায়, অনুজ আসতে চাইছিল না তাই তাকে জোর করে নিয়ে এসেছে সে।
গুড্ডিকে এই সাজে দেখে দিশেহারা হয়ে যায় অনুজ। সে মনে মনে বলে, ‘মরে যাওয়াই আমার ভালো। আর তাই মরার আগে একবার বাঁচার শেষ চেষ্টা আমি করবই। সবার সামনে সব সত্যি কথা বলব আমি।’ এরপর গুড্ডি তাদের চা দিতে গেলে শিরিন তার অভ্যাসমত খোঁচা বলে কথা বলতে গেলে পাল্টা জবাবটা ভালোই পায়।
শিরিনকে যোগ্য জবাব দিয়ে চায়ের কাপ অনুজের দিকে বাড়াতেই সেটা ছুড়ে ফেলে দেয় সে। সবাই চমকে যায় অনুজের এই আচরণে। গুড্ডি বলে, অবিলম্বে অনুজের ডাক্তার দেখানো উচিত, তার নাকি মানসিক রোগ আছে। নিজের দাদার স্ত্রীর সাথে কীভাবে ব্যবহার করা উচিত সেই বোধটুকুও নেই তার। এরপরের ঘটনা সম্পর্কে আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের পোর্টাল Newzshort.com এ।
