Delhi,Avanish,Uber,E Commerce,Struggle,Life Story,মুম্বাই,অবনীশ,ই কমার্স,উবের,জীবন কাহিনী,স্ট্রাগল

Moumita

বাবার পাশে দাঁড়াবেন এইটা জীবনের ব্রত, দিনে অফিসে চাকরি করে রাতে ট্যাক্সি চালক অবনীশ, রইল তাঁর কাহিনী

প্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব ভাগ্য নিয়ে জন্মায় এমন কথা সকলের মুখে প্রচলিত। কেউ সহজেই সবকিছু পেয়ে যায়, আবার কাউকে সামান্য জিনিস পেতেও করতে হয় কঠিন লড়াই। দারিদ্রতার পাহাড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই লড়াইয়ে। তবে এমন মানুষও দেখেছি যারা এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পার করে একটু সাফল্যের মুখ দেখার জন্য হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছে। এমনই একজন মানুষ হলেন, অবনীশ।

   

বছর ৩৫ এর অবনীশ ছোটো থেকেই মারাত্মক তুখোড় ছিলেন পড়াশোনায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি বেজায় নেশা ছিলো খেলাধূলাতেও। দিল্লিতে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে ক্রিকেটও খেলতেন তিনি। এমতাবস্থায় বাধ সাধল তার পরিবারের আর্থিক সমস্যা। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই কাজ খুঁজতে বেরোতে হয় তাকে।

পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটোখাটো কাজ করে যেটুকু উপার্জন করতেন তুলে দিতেন বাবার হাতে। সংসারে জোয়াল যাতে একা বাবাকে না টানতে হয়, সে বিষয়ে ছোট থেকে সতর্ক ছিলেন তিনি। বড় হওয়ার পর সেই দায়িত্ব যেন আরও জাঁকিয়ে বসেছে। এদিকে বাবাও নাছোড়বান্দা, বয়স হয়ে গেলেও সংসারের হাল ছাড়তে রাজি নন। আর এদিকে অবনীশ চান না যে তার বাবা এখনও কষ্ট করুক।

সেই কারণেই পড়াশোনা শেষ করে একটি ই কমার্স কোম্পানিতে চাকরি জুটিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু সেই বেতন এতোটাই কম যে তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছিল। আর সেই কারণেই আরো একটি কাজের খোঁজ করছিলেন অবনীশ। সেই সময় তার চোখে পড়ে এই উবের সংস্থার বিজ্ঞাপনটি।

কিন্তু গাড়ি চালাতে তো তিনি জানেননা। কোনোভাবে মোটামুটি শিখলেও তা কাজ চালানোর মতো নয়। তবু পিছিয়ে না এসে সাহস করেই এই কাজটি শুরু করেন। সকাল থেকে সারা দিন অফিসের কাজ করেন। অফিসে ছুটির পর উবের চালান। দিনে ই-কমার্স সংস্থার কর্মী। রাত হলে সেই তিনিই আবার উবর চালক।

বছর ৬৫-এর বয়সি বাবাকে সাহায্য করতেই এমন উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন দিল্লি নিবাসী অবনীশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি অবনীশের উবরে সওয়ারি হয়েছিলেন। অবনীশের মুখে তার গল্প শুনে সেই কাহিনীকে মুঠোফোনে বন্দি করে নেন তিনি। নেট মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই ধন্য ধন্য করছে সবাই।