নব্বইয়ের দশকে যে কয়জন প্রথম সারির অভিনেত্রী ছিলেন তারমধ্যে একটা নাম অবশ্যই রচনা ব্যানার্জীর। সেই সময়কার শীর্ষস্থানীয় সমস্ত তারকার সাথেই কাজ করেছেন তিনি। তবে তার জনপ্রিয়তা মূলত বাড়ে টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় নন ফিকশন শো ‘দিদি নম্বর 1’। শোয়ের সঞ্চালিকা হিসেবেই প্রত্যেক বাঙালির ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন টলি সুন্দরী।
‘দিদি নম্বর ১’র হাত ধরে টেলি দুনিয়ায় নিজের আলাদা জগৎ তৈরি করেছেন অভিনেত্রী। সাথে সাথে বেড়েছে শো-র জনপ্রিয়তাও। এখন তো এমন হয়েছে যে, রচনা ব্যানার্জীকে ছাড়া ‘দিদি নম্বর ১’-র কথা ভাবাই যায়না। এখন তো রচনা এবং ‘দিদি নম্বর ১’ যেন একে অপরের সমার্থক শব্দ।
এমতাবস্থায় হঠাৎ করে যদি শোনেন যে, ‘দিদি নম্বর ১’র মঞ্চে আর দেখা যাবেনা রচনা ব্যানার্জীকে তাহলে কেমন রিয়েকশন হবে আপনার? সত্যি বলতে রচনার এই জায়গা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে এ যেন কল্পনারও অতীত। তবে এবার কার্যত সেটাই ঘটতে চলেছে। দীর্ঘ ১০ বছর পর নাকি শো থেকে বাদ পড়তে চলেছেন রচনা।
প্রসঙ্গত, জী বাংলার এই শো-য়ে অতিথি হিসেবে থাকে ৮ থেকে ৮০ সকলেই। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বৃদ্ধা সবাই আসেন এই শো-তে। এই যেমন দিন কয়েক আগেই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিল বেশ কয়েকজন কচিকাঁচা। তারই মধ্যে একজনের নাম ছিল অনুষ্কা চ্যাটার্জি। আর সেই খুদেই নাকি রিপ্লেস করতে চলেছে রচনাকে।
এইদিন, বেশ ভালোই দক্ষতার সাথে শো সঞ্চালনা করে দেখান তিনি। তার বাচনভঙ্গি, অঙ্গভঙ্গি এসব দেখে রীতিমত হতবাক হয়ে গেছেন সবাই। এমনকি অভিনেত্রী তো এটাও বলেন যে, ‘তার নাকি রীতিমতো ভয় করছে। এই পুঁচকে যে তার চাকরি নিয়ে নেবেনা তার গ্যারান্টি নেই।
পাশাপাশি, এইদিন একদম রচনার মত সেজেও এসেছিলেন অনুষ্কা। জানা গেল রোজ বিকেলে হলেই নাকি তার এই শো দেখা চাই। আর এই শো দেখতে দেখতেই রচনাকে নকল করতে শিখেছে সে। প্রতিটা লাইন এত সুন্দরভাবে মনে রেখেছে, যে দর্শকরা তো বটেই পাশাপাশি অবাক হয়ে গিয়েছেন রচনাও।