ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) মৃত্যুর পর প্রায় দুটো মাস পেরিয়ে গেছে। এখনও সেই শোক ভুলতে পারেনি তাঁর পরিবার। আর সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) তো নিজেকে ঘর বন্দিই করে নিয়েছিলেন। সত্যি বলতে প্রিয়তমা ঐন্দ্রিলা শর্মার চলে যাওয়ার ধাক্কাটা সইতে পারেননি তিনি।
এযাবৎ, যতবার ঐন্দ্রিলা সমস্যায় পড়েছেন ততবারই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু সর্বশেষ আঘাতটা আর আটকাতে পারেননি। ব্রেন স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি নিজের প্রিয়তমাকে। তবে অবশেষে নিজেকে সামলাতে শুরু করেছেন। ধীরে ধীরে জীবনের ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি।
আর সেই তিনিই এবার সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এর আগে নিজেকে সবকিছু থেকে দূরে থাকলেও সম্প্রতি এই সময়ের পক্ষ থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাতে সাড়া দিয়েছেন। যদিও প্রথম থেকেই শর্ত রেখেছিলেন যে, ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবেনা। তবে এমনিতেই তিনি একটু অন্তর্মুখী স্বভাবের।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সব্যসাচী জানান, এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন কিন্ত তারপর সেটা ছেড়ে দিয়ে হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এরপর অক্সফোর্ড ব্রুকস থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেছেন ডার্ক টুরিজম নিয়ে। হোটেলে কাজ করার পর কর্পোরেট সেলসের চাকরিও করেছেন।
সব্যসাচী জানান, বাবা মায়ের অমতেই চাকরি ছেড়ে স্টুডেন্ট লোন আর নিজের জমানো টাকার উপরে ভরসা করে বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে চরম অর্থকষ্টের সময় কেএফসিতে মেঝে পর্যন্ত পরিষ্কার করেছেন সব্যসাচী। তিনি এত জায়গায় কাজ করেছেন যে, নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তার বক্তব্য, ‘সাত ঘাটের জল খাওয়া’।
এতকিছুর পর থিতু হয়েছিলেন অভিনয় জগতে। শান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার কাছে। শর্তের বাইরে গিয়েও প্রেমিকা সম্পর্কে কিছু কথা বলেই ফেললেন এইদিন। সব্যসাচী জানান, ‘তিনি ঈশ্বরকে অস্বীকার করেন না। জীবনের কঠিনতম সময়ে ডুবন্ত মানুষ খড়কুটোও আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। তবে ঐন্দ্রিলার সুস্থতা কামনা করে তখন বহুদূর দূর থেকে মানুষ পুজোর ফুল, তাবিজ নিয়ে আসতেন।’ তাছাড়া আধ্যাত্মিক না হলেও সুপার পাওয়ারে বিশ্বাস করেন তিনি।