নিউজশর্ট ডেস্কঃ যেকোনো বিখ্যাত মানুষের জীবনের কাহিনী(Success Story) আমাদের সকলকেই অনুপ্রাণিত করে। সেই তালিকায় যেমন বিভিন্ন সেলিব্রিটি রয়েছেন তেমনি আছেন সাধারণ মানুষ। নিজের ইচ্ছেশক্তির ওপর ভিত্তি করে কঠোর পরিশ্রমের পর আজ উন্নতির শিখরে পৌঁছেছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে এমনি একজন ব্যক্তির কথা বলব যিনি ব্যবসার মাধ্যমে নিজের আলাদা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
এই ব্যবসায়ী এই মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেন। আর এখন তিনি ৩২ হাজার কোটি টাকার মালিক। নিশ্চয়ই শুনে অবাক হচ্ছেন তবে এই ঘটনাটি পুরো সত্যি। তার নিজের তৈরি ব্র্যান্ডের জন্য আজ বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছেন তিনি। খুব সহজেই তার এই সফলতা আসেনি। এর জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় একুশ বছর। বর্তমানে ভারতে তার ব্র্যান্ডের ৬০০টি বেশি স্টোর রয়েছে।
এখানে কথা হচ্ছে ব্যবসায়ী রবি মোদিকে(Ravi Modi) নিয়ে। তিনি বিখ্যাত ব্র্যান্ড মান্যভারের(Manyavar) প্রতিষ্ঠাতা ও এম ডি। আইআইএফএল হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২২-এ মোদি দ্রুততম উপার্জনকারী ব্যবসায়ী হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এছাড়া ফোবর্সের তালিকায় এই ব্যবসায়ী সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৪ বিলিয়ান্ ডলার বা ২৮,৩১৯ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে তিনি ভারতীয় সবচেয়ে ধনী মানুষদের তালিকায় ৬৪ তম স্থানে রয়েছেন। তবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য তাকে কঠোর পরিশ্রম এবং ঝুকি নিতে হয়েছে।
তিনি প্রথম ২০১১ সালে দুবাইয়ে মান্যভারের প্রথম আন্তর্জাতিক স্টোর হলেন। কলকাতায় তার বাবার একটি ছোট কাপড়ের দোকান ছিল। তিনি ছোট থেকেই তার বাবাকে কাজে সাহায্য করতেন। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে নিয়মিত বাবার দোকানে কাজ করতে আসতেন। নয় বছর ধরে দোকানে কাজ করার সময় তিনি বহু কিছু শিখে ফেলেছিলেন। এরপর কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিকম করেন। এরপর তিনি এমবিএ করার কথা ভাবলে তার বাবা বলেছিলেন যে সে নাকি গত ৯ বছর ধরে আসল এমবিএ করে ফেলেছেন। এরপরে ব্যবসার দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ে।
আরও পড়ুন: মোটা টাকার মাইনে ছেড়ে শুরু করেন খিচুড়ির ব্যবসা, এই মহিলার এখন বছরে ইনকাম কয়েক কোটি টাকা
এভাবে এই তিনি নিজের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তার বাবার সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নিজে আলাদা ভাবে কিছু করার কথা ভাবেন। মায়ের কাছ থেকে মাত্র ১০ হাজার টাকা নিয়ে নিজের দোকান খুলে রবি মোদী। এরপরে তিনি তার নিজের ছেলের নামে বেদান্ত ফ্যাশন্স নামের একটি দোকান খোলেন। এই দোকানটি ভারতীয় পোশাক তৈরি করত। মানুষের পছন্দ হওয়ায় একটি এজেন্সি তাকে একটি ব্র্যান্ড দিয়ে বাজারে প্রবেশের পরামর্শ দেয়। আর এরপরই শুরু হয় মান্যবর। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তার ব্যবসা এখন ছড়িয়ে পড়েছে। ১৬ টি আন্তর্জাতিক স্টোর রয়েছে তার।