পুরো এক মাস হয়ে গেল ঐন্দ্রিলা শর্মা ইহজগতে নেই। গতমাসের ঠিক এই তারিখেই সবাইকে বিদায় জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দু-ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলা। একের পর এক রোগের মারণ কামড়ের পর হেরে গেলেন জীবনের শেষ যুদ্ধে।
গত মাসের রবিবার বেলা গড়িয়ে দুপুর বেলায় সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করতে করতেই আসে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর। একটা মুহুর্তের জন্য থমকে গিয়েছিল সবার আঙুল। সত্যিই আর নেই মেয়েটা? এ খবর যেন মিথ্যা হয়! এমন অনেক প্রার্থনাই করেছিল অনুরাগীরা। কিন্তু ওই যে নিয়তির কাছে মানুষ যে বড়ই অসহায়।
নিজের বেঁচে থাকার কারণ সব্যসাচীকে একা রেখে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। ছোট মেয়েকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন শিখা শর্মা। দুঃখে কাতর হয়ে পড়েছিলেন দিদি ঐশ্বর্য্য। যদিও মিষ্টিকে হারানোর দুঃখ বার বার সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তারা, কিন্তু সব্যসাচী একটি বারের জন্যও সামনে আসেননি। কথা বলেননি।
গত একমাসে একটু হলেও কি সামলাতে পেরেছেন সব্যসাচী? মাঝখানে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বার বারই ফোন বন্ধই পাওয়া গিয়েছে। তবে আজ মঙ্গলবার অবশেষে ফোনে পাওয়া গেছে তাকে।
ধীর,শান্ত গলায় জানালেন, “আমি কিছুটা ঠিক আছি।” যদিও তিনি ঠিক কতটা ঠিক আছেন তাতে সন্দেহ থেকেই যায়। তবে এর চেয়ে আর বেশি কিছু বলতে রাজি নন তিনি। অভিনেতার সাফ জবাব, “আমি এই বিষয়ে সত্যিই কোনও কথা বা ইন্টারভিউ দিতে চাই না। ধন্যবাদ।”
এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তিনি সেই তিমিরেই। ব্যক্তিগত জীবনকে গোছানোর চেষ্টা করলেও কর্মজগতে এখনও ফেরেননি। কিছুদিন আগেই অভিনেত্রীর মা শিখা নিজের ফেসবুকে ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর একটি ছোট্ট ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়ে লিখেছিলেন, “আমার ঐন্দ্রিলার সব্যসাচী।” তবে সব্য এখনও নিরব।