ভ্রমণ,পর্যটন স্থান,ওড়িশা,সিমলিপাল,Travel,Tourist Places,Orisha,Simlipal

Moumita

পাহাড়-জঙ্গল দুটোই একসাথে, রইল শীতে দু-দিনের ছুটিতে ঘুরে আসার সেরা ঠিকানা

আকাশে বাতাসে এখনও শীত লেগে থাকলেও ছুটির দিন তো কমে আসছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও খুব বেশি দূর থেকে ঘুরে আসা সম্ভব নয়। আবার মনটাও করছে বেড়ু বেড়ু। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের কাছেপিঠে সব জায়গা ঘুরে আসা হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় যদি পড়শী রাজ্য থেকে ঘুরে আসা যায় তাহলে কেমন হয়?

   

তবে ওড়িশা শুনেই আবার পুরীর কথা ভেবে বসবেননা যেন। বরং এখানে তো রয়েছে একটু পাহাড় একটু জঙ্গলের রহস্য। এরকম পাহাড়-জঙ্গল মিশে আছে এমন একটা জায়গার সন্ধান পেলে বোধহয় খুব একটা মন্দ হয়না। তাহলে আর বেশি না ভেবে পোঁটলা পুঁটলি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সিমলিপালের উদ্দেশে।

কী দেখবেন : কথিত আছে ময়ূরভঞ্জ জেলার অন্তর্গত এই জায়গার নাম কারণ হয়েছিল শিমূল গাছের আধিক্যের জন্য। তবে এই মরসুম যদিও শিমূলের নয়। জেনে অবাক হবেন যে, ২৭৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এই অভয়ারণ্য। এছাড়া রয়েছে জাতীয় উদ্যানের তকমা।

১৯৮০ সালে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে সিমলিপাল। এরপর থেকেই এই জায়গার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। বাঘ ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মেলে বুনো হাতি, চিতল হরিণ, বুনো খরগোস, বনবিড়াল, সম্বর, বুনো কাঠবিড়ালি, বুনো শুয়োর, হনুমান এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির।

শুধু কী তাই? জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে হাঁটলে শুনতে পাবেন বরহিপানি এবং ঝারান্দা জলপ্রপাতের আওয়াজ। যদিও শীতে এই ঝর্ণার রূপ খুব একটা খোলেনা। তবে বর্ষার সময় দেখার মত হয়। জঙ্গলের মাঝে দুটি রাস্তা আছে, হাতে সময় নিয়ে গেলে দুটো দিকই এক্সপ্লোর করতে পারবেন। এছাড়া সকাল, বিকেল হেঁটেই ঘুরে আসতে পারেন বুড়িবালাম নদীর ধার থেকে।

থাকবেন কোথায় : কপাল ভালো থাকলে ওড়িশা পর্যটন কেন্দ্রের নিজস্ব বনবাংলোতে ব্যবস্থা হয়ে যেতেও পারে। তবে এই মরসুমে ঘর পাওয়া খুবই কষ্টের। তবে চিন্তার কিছু নেই। বিভিন্ন দামের এবং মানের বেসরকারি বেশ কিছু হোটেল এবং রিসোর্টও রয়েছে। এছাড়া ১৯২ কিঃমিঃ দূরে ভুবনেশ্বর তো রইলই। হাতে সময় থাকলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন।