নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকায় পুঁই শাকের (Pui Shak) চচ্চড়ি কিম্বা মাছের মাথা অথবা চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি পুঁই শাকের বিভিন্ন পদের নাম শুনলেই জিভে চলে আসে ভোজনরসিক বাঙালির। আসলে এই পদ গুলির রান্না আমাদের গ্রাম বাংলার পিসি ঠাকুমাদের হাতে তৈরি বহু পুরনো রান্না। যা এখনকার দিনে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে বললেই চলে।
তবে ইদানিং এই পুঁই শাক চাষের (Farming) ব্যবসা (Business) করেই দারুণ লাভবান হচ্ছেন বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ। তবে মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেই এই পুঁই শাকের চাষ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখনও সাধারণত গ্রামের দিকে গেলে হামেশাই দেখা যায় মাঠে-ঘাটে কিংবা কারও বাড়ির উঠোনে কিংবা টালির চালে লতিয়ে উঠেছে এই পুঁই শাক।
পুঁই শাক সাধারণত লতানো গাছ, এর পাতা থেকে ডাটা কিংবা বীজ সবই খাওয়া হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে পুঁই শাক গাছের ডাটা এবং পাতা যেমন খাওয়া যায় সেই সাথে এর বীজও দারুন উপকারী। এই বীজের মধ্যে নাকি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন যা মানবদেহের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শরীরকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পুঁই শাক চাষ এখনও সেভাব জনপ্রিয়তা না পেলেও ইদানিং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু জায়গাতেই পুঁই শাক চাষ করতে দেখা গিয়েছে। মূলত গরম আবহাওয়া হওয়াতেই পুঁইশাক খুব ভালোভাবে চাষ করা যায়। তবে কম তাপমাত্রায় পুঁইশাক খুব একটা ভালো করে গজাতে পারে না।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ৫০ দিন Wifi, DTH এবং OTT পরিষেবা দিচ্ছে Jio! সুযোগ হাতছাড়া করলেই বিরাট লস
সাধারণত সব ধরনের মাটিতেই এই পুঁই শাক গাছ হওয়া সম্ভব। তাই ব্যবসায়িক দিক দিয়েও এই পুঁইশাক চাষ করেই ভালো পরিমাণ লাভ হতে পারে। তাছাড়া পুঁই শাক খরচও হয় অনেক কম। এই পুঁই শাকের চারা উৎপাদন করে ১০-১৫ দিনের মধ্যে চারা লাগানো যায় এবং পরবর্তী ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যেই এর ফলন-ও তোলা যায়।