ঘুম,ত্রিপর্ণা চক্রবর্তী,শ্রীরামপুর,প্রতিযোগিতা,Sleep,Triparna Chakraborty,Shrirampur,Compitition

Moumita

‘ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই বাজিমাত’, এই ঘুমের জন্যই ৫ লক্ষ টাকা জিতেছেন বাঙালি কন্যা ত্রিপর্ণা

অলস আর ঘুমকাতুরে বলে বাঙালির বিশেষ দুর্নাম আছে। বাঙালি নাকি মাথা খাটায় আর ঘুমায়। মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দাদের অন্তত তাই ধারনা। তবে এই ঘুমই যে সেরার শিরোপা এনে দেবে তা কে জানতো? যে ঘুম নিয়ে এতো খোঁটা সেই ঘুমই এনে দিলো জয়ের খেতাব। চলুন জেনে নিই ব্যাপারটা আসলে কী?

   

শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ত্রিপর্ণা চক্রবর্তী। তার কাছে ঘুমের চেয়ে প্রিয় আর কিছু নেই। না কোনো ঘুম পাড়ানি গান আর না কোনো ঘুমের ওষুধ, ঘুমের জন্য কখনো কোনো কষ্ট করতে হয়নি তাকে। সম্প্রতি শুধু ঘুমিয়েই ৫ লাখ টাকা জিতে নিয়েছেন তিনি। এখন তিনিই দেশের সেরা ঘুমকাতুরে।

আসলে একটি বিখ্যাত ম্যাট্রেস সংস্থা বছর খানেক আগে ঘুমের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রায় ৬ লাখের মতো আবেদন জমা পড়ে এই প্রতিযোগিতায়। তাদের মধ্যে ত্রিপর্ণাও ছিলো একজন। MBA পড়তে গিয়েই এই প্রতিযোগিতার কথা জানতে পেরেছিলেন তিনি।

ঘুম,ত্রিপর্ণা চক্রবর্তী,শ্রীরামপুর,প্রতিযোগিতা,Sleep,Triparna Chakraborty,Shrirampur,Compitition

ত্রিপর্ণার কথায়, “যখন আবেদন করেছিলাম তখন বুঝতে পারিনি এটা প্রতিযোগিতা। ইন্টার্নশিপের মত ছিল বিষয়টা। পরে গিয়ে দেখি ঘুমানোর জন্য পয়সাও দেওয়া হবে।” কী ভাবে পুরো প্রক্রিয়াটা চলেছে? সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি জানিয়েছে ইন্টারভিউ সহ একাধিক রাউন্ডের হয়েছে। ছিলো ঘুম সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন। এরপর ৬ লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় ১৫ জনকে।

এরপর এই ১৫ জনকে ঐ ম্যাট্রেস সংস্থা একটি করে বিশেষ ম্যাট্রেস দেয়। যাতে লাগানো থাকে স্লিপ ট্র্যাকার। যাতে প্রতিযোগিরা কেমন ঘুমাচ্ছে, কতক্ষন ঘুমাচ্ছে সবকিছু ট্র্যাক করা যায়। সেই সঙ্গে শর্ত হিসেবে বলা হয় যে, দৈনিক অন্তত ৯ ঘন্টা করে ঘুমাতে হবে সবাইকে। ১০০ দিনের এই পর্বের পর বেছে নেওয়া হয় সেরা ৪ প্রতিযোগিকে। তার মধ্যেই ত্রিপর্ণা ছিলো অন্যতম। অবশেষে বাকিদের পেছনে ফেলে সেরা ঘুম কাতুরের মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি।

এমনিতে ত্রিপর্ণা ঘুম কাতুরে হলেও এই প্রতিযোগিতা তার জন্য একটু সমস্যার ছিলো। আসলে রাতে অফিস থাকায় তাকে দুপুরে ঘুমাতে হতো। তাই প্রথম প্রথম নানা চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যেতো তার। তবে ঘুম নিয়ে একাধিক মজাদার ঘটনা রয়েছে ত্রিপর্ণার জীবনে। ত্রিপর্ণার কথায়, “একবার অঙ্ক পরীক্ষা দিতে গিয়ে হলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙে ৪০ মিনিট পরে। স্যাট পরীক্ষা দিতে গিয়েও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরীক্ষক ডেকে চা খাইয়েছিলেন।” সেইসময় লজ্জায় পড়তে হলেও সেরা ঘুম কাতুরে খেতাব জিতে এখন বেশ খুশি তিনি।