চলতি বছরে একটা বিশেষ ট্রেন্ড দেখা দিয়েছে। কোনো ধারাবাহিকের টিআরপি কমলেই তাকে সোজা বাদ দিয়ে দিচ্ছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষরা। আর এই চক্করে গত কয়েক মাসে কত ধারাবাহিক যে বন্ধ হলো তার ইয়ত্তা নেই। কিছু কিছু ধারাবাহিক তো এমনও ছিলো যেগুলোর খাতা খুলতে না খুলতেই হয়ে গেছে বন্ধ।
এরকমই একটা সিরিয়াল হলো ‘বৌমা একঘর’। শুরু হওয়ার পর মাত্র ৯০ দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় এই ধারাবাহিকটি। এই নিয়ে কম হইচই পড়েনি স্টুডিওপাড়ায়। আসলে বাংলা বিনোদন জগতে এরকম ঘটনা সত্যিই বিরল। যেখানে এক একটা ধারাবাহিক বছরের পর বছর দৌড়ায় সেখানে মাত্র তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটু অবাকই করে।
প্রসঙ্গত, ‘বৌমা একঘর’ ধারাবাহিকের আচমকা বন্ধের খবরে খানিকটা মুসড়ে পড়েন নায়িকা সুস্মিতা দে’। তবে দু’মাসের মধ্যেই আবারও হাসি ফুটেছে অভিনেত্রীর মুখে। সিনেপাড়ার খবর খুব শীঘ্রই নাকি নতুন ধারাবাহিক নিয়ে আবারও টেলিভিশনে ফিরছেন তিনি।
চলতি বছরের গত অগাস্টেই শোনা যায় ‘বৌমা একঘর’ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর। কাজ হারানোর কারণে সুস্মিতাকে খানিকটা বিষন্নতা ঘিরে ধরলেও খুব বেশিদিন আর অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। টলিপাড়ার গুঞ্জন, এবার সাহানা দত্তের নতুন ধারাবাহিকের অফার গেছে তার কাছে। রিপোর্ট বলছে আর দেরি নয়, খুব শীঘ্রই শুরু হবে ধারাবাহিকের কাজ।
এদিকে সুস্মিতার কেরিয়ারগ্রাফের কথা বললে, ‘অপরাজিতা অপু’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোট পর্দায় হাতেখড়ি সুস্মিতার। প্রথম ধারাবাহিকেই বেশ মন টেনেছিলেন সবার। তারপরেই তাকে কাস্ট করা হয় ‘বৌমা একঘর’ ধারাবাহিকের লিড রোলে। তবে সেই ধারাবাহিক খুব বেশিদিন চলেনি।
সূত্রের খবর, আসন্ন এই ধারাবাহিকে রাজদীপ গুপ্তর সঙ্গে জুটি বাঁধবেন এই নায়িকা। তবে পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে যে, সাহানার এই নতুন ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে প্রথমে নবনীতা দাসের কথা ভাবা হয়েছিলো। তবে পরে কোনো কারণবশত নির্মাতাদের মত পাল্টায় এবং এই অফার যায় সুস্মিতার কাছে। যদিও এখনও পর্যন্ত স্টার জলসা বা সুস্মিতা কেউই এই বিষয়ে কোনো অফিশিয়াল বিবৃতি দিতে নারাজ।
