‘ক্যামিও রোল’ শব্দটার মানে তো সকলেই জানেন। কোনো ছবিতে বিশেষ এক তারকাকে অতিথি হিসেবে আনা হয় ছবির চমক বাড়ানোর জন্য। অনেক সময় কাজও হয় এতে। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকে এর দারুন চল ছিল। মানুষ তাদের প্রিয় তারকার এক ঝলক দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতো।
প্রিয় তারকাকে দেখার জন্যেই প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমাতেন ভক্তরা। আর এই ট্র্যাডিশন এখনও চালু রয়েছে। কোনো ছবির সাসপেন্স আরো বাড়ানোর জন্য তাবড় তাবড় তারকাদের অতিথি হিসেবে আনা হয় ছবিতে। উদাহরণস্বরূপ, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে ক্যামিও হিসেবে শাহরুখ অভিনয় করেছেন।
এছাড়া, ‘সালাম ভেঙ্কি’তে আমির খান, ‘গোবান্দা মেরা নাম’ ছবিতে রণবীর কাপুর, ‘কালা’তে অনুষ্কা শর্মার মত তারকারা ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এমনকি সাম্প্রতিক রিলিজ ‘সার্কাস’ও দেখা গেছে দীপিকার ঝলক। ছবিতে দীপিকার এই বিশেষ গানটিকে হাতিয়ার করতে চেয়েছিলেন নির্মাতারা।
প্রত্যেকের আশা ছিল, এতে হয়তো ছবির মান বাড়বে এবং তার সাথে বাড়বে ছবির কালেকশনও। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তেমনটা কিছুই হয়নি। চলতি ট্রেন্ড দেখে মনে হচ্ছে, আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকারা এত বেশি অ্যাক্টিভ থাকেন যে, তাদের দেখার জন্য মানুষ আর প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করেনা।
সোজা কথায় বললে, ক্যামিও চরিত্রের গুরুত্ব কমতে কমতে এখন আর নেই বললেই চলে। এই প্রসঙ্গে ট্রেড অ্যানালিস্ট অতুল মোহনের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘আমি মনে করিনা এখন আর ভক্তরা কেবল তাদের প্রিয় তারকাদের দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘৮০ বা ৯০ এর দশকে এটি কাজ করত।’
একইভাবে ট্রেড অ্যানালিস্ট কোমল নাথ বলেছেন, ‘কেউ ক্যামিওর কারণে টিকিট কেনে না। গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সের কারণে ফিল্মে কাজ হবে এমনটা ভাবা ভুল ধারণা।’ সর্বোপরি একথা বলাই যায়, যে কোনো কারণেই হোক, বলি তারকারা হয় অতিরিক্ত সহজলভ্য হয়ে গেছে আর নয়তো নিজেদের জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।