শুরু থেকেই দর্শকদের অ্যাটেনশন কেড়ে নিয়েছে নীল-তিয়াসার নতুন ধারাবাহিক ‘বাংলা মিডিয়াম’। যদিও নেতিবাচক সমালোচনাটাই বেশি হচ্ছে, তবুও চর্চায় তো রয়েছেন তারা। তবে বিতর্কের যেন শেষই নেই। একটার পর একটা হাস্যকর কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হচ্ছেন নির্মাতারা।
প্রথমেই ইন্দ্রানী অর্থাৎ তিয়াসার গ্রাম্য লুক নিয়ে এতটাই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন নির্মাতারা যে, সেটা এখনও হজম হয়নি দর্শকদের। সত্যি বলতে কোথায় কী পরে যেতে হয়, আজকের দিনে সেটা সকলেই জানে। মাথার দুই পাশে বেনী, হাওয়াই চপ্পলের দিন অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
কিন্তু বাংলা টেলিভিশনের তো কাজই হল গল্পের গরুকে গাছে ওঠানো—অন্তত নেটিজেনদের তো এমনটাই মন্তব্য। এই অবধি যদিও বা ঠিক ছিল, কিন্তু তারপরের ঘটনা দেখে তো আকাশ থেকে পড়েছে নেটিজনরা। যারা নিয়মিত এই ধারাবাহিকটি দেখছেন তারা হয়ত জানেন যে, ইতিমধ্যেই সালফিউরিক অ্যাসিড দিয়ে আগুন নিভিয়েছে ইন্দিরা।
এটা দেখার পর হয়তো অনেকেরই শক লেগেছে তবে স্টার জলসা কিন্তু এটা করে দেখিয়েছে। আসলে এইদিন স্কুলের কেমিস্ট্রি ল্যাবে আগুন ধরে যাওয়ায় হাতের কাছে জল না থাকায় উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে ল্যাবের মধ্যে থাকা H2so4-এর বড় শিশিতে ডিটারজেন্ট পাউডার মেশানোর কথা মাথায় আসে ইন্দিরার।
এরপর সে সেই অ্যাসিড এবং ডিটারজেন্টের মিশ্রণ ছুড়ে আগুন নেভায়। আর এই ঘটনাতেই চমকে উঠেছে নেটিজনরা। একজন তো লিখেছে, ‘H2so4 অপমানে না সুইসাইড করে’। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরো এক নতুন আজগুবি গল্প নিয়ে হাজির ‘বাংলা মিডিয়াম’।
নতুন এপিসোডে দেখতে পাবেন, স্কুলের এক ছাত্র ব্যাগে লোডেড পিস্তল নিয়ে হাজির। এমনকি ক্লাসরুমের মধ্যে বন্দুক নিয়ে শো-অফ করতে দেখা যায় তাকে। এক স্কুল পড়ুয়া বন্দুক নিয়ে স্কুলে আসে কীভাবে? টিআরপি আনতে গিয়ে একটু বেশিই অতিরঞ্জিত হয়ে যাচ্ছেনা? এবার এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নেট মাধ্যম।