Tourist Spot

Papiya Paul

Tourist Spot: ঘুরে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রঙ-বেরঙের ময়ূর, এই জঙ্গল ঘেরা গ্রামে গেলে আর চাইবেন না ফিরতে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ পাখিদের মধ্যে ময়ূরের(Peacock) জনপ্রিয়তা সবসময় বেশি। এর কারণ ময়ূর যেমন সুন্দর দেখতে ঠিক তেমনি যখন  পেখম মেলে ধরে সেই সৌন্দর্য যে একবার নিজের চোখে দেখেছেন সে কোনদিনই ভুলতে পারবেন না। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে রংবেরঙের ময়ূররা পাখনা মেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এই এলাকাতে এখন ভিড় জমাচ্ছেন দূর দূরান্তের পর্যটকরা(Tourist Spot)।

   

বনদপ্তরের ধারাবাহিক প্রচারে গ্রামবাসীরা সচেতন হতেই আউশগ্রামের জঙ্গলমহল এলাকার গ্রাম হেদোগড়িয়াতে এখন ময়ূর-ময়ূরীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রামবাসীরা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাঁচানোর স্বার্থে  প্রকৃতি বাঁচিয়ে এখানে ইকো ট্যুরিজমের দাবি জানাচ্ছেন। এখন এই এলাকায় দেখা মিলছে ময়ূরের দলের। কখনো তারা আবার দল বেঁধে লোকালয়ে চলে আসছে। আর এই ময়ূরকে দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন পর্যটকেরা।

এখানে বন বিভাগ সূত্র জানা গিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে এই আউশগ্রাম সংলগ্ন কাঁকসার দেউল এলাকায় কয়েকটি ময়ূর ছাড়া হয়েছিল। এরপর স্থানীয়দের সাহায্যে সেখানে ময়ূরদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারার জন্যই এখন ময়ূরের এভাবে বংশবিস্তার ঘটেছে। সঠিকভাবে সংখ্যা জানা না গেলেও পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে প্রায় ৫০০র বেশি ময়ূর এখানে রয়েছে।

আরও পড়ুন: Kalighat Temple: শুধু পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির নয়, এবার সোনায় মুড়ে দেওয়া হবে কালীঘাট মন্দিরকেও!

স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলছেন আউসগ্রামের হেদগরিয়া ছাড়াও প্রেমগঞ্জ, রাঙাকুলা, আদুরিয়া, প্রভৃতি গ্রামেও এখন দলে দলে ময়ূর ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরাই জানিয়েছেন দু’বছর আগে মাঝেমধ্যে ময়ূরদের দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর পর্যটকরাও এখানে ঘুরতে এসে এই ময়ূর দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হচ্ছেন। তবে এখানের গ্রামবাসীরা সবসময় ময়ূরের খেয়াল রাখছেন। যাতে অপরিচিত কোনো চোরাশিকারি এখানে এসে না পৌঁছায়। এছাড়া বনদপ্তরের কড়া নজরদারিও রয়েছে।

প্রসঙ্গত এই জঙ্গলে  ইন্ডিয়ান উলফ বা হেঁরোল, খরগোশ,অজগর, বনমুরগি, বনবিড়াল, থেকে শুরু করে প্যাঙ্গোলিন, সজারু প্রভৃতি প্রাণীও দেখা যায়। এর পাশাপাশি এখন এত বেশি সংখ্যক ময়ূরের দেখা পেয়ে খুশি হচ্ছেন সব পর্যটকেরা।