অবশেষে শেষ হল ‘ধুলোকণা’র সফর। কাল থেকে টেলিভিশনের পর্দায় আর দেখা যাবেনা এই ধারাবাহিকটি। একাধিক বিয়ে, পরকীয়া, লিপস্টিক দিয়ে বিয়ের মত একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল ধারাবাহিকটি। তবে অবশেষে সমস্ত অভিযোগের অবসান ঘটলো।
সমুদ্রে হারিয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে লালন। এবং এরপর তার পরিচয় হয় তিতিরের সাথে। স্মৃতিভ্রষ্ট লালনের স্মৃতি ফিরে এলেও তিতিরকে কোনোভাবেই ছাড়তে রাজি হয়নি সে। উলটে ফুলঝুরিকেই অপমান করে বসে লালন। এরপর জানা যায় ফুলঝুরির পেটে টিউমার হয়েছে।
ফুলঝুরির এই অবস্থার মাঝেই তিতিরের সাথে বিয়ের আয়োজন করে লালন। এই পরিস্থিতিতে ফুলঝুরির কাছে ফিরে আসে অঙ্কুর। শুরু থেকেই নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসেছিল সে। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। ফুলঝুরির প্রাণ বাঁচাতে সবকিছু করে সে।
এমতাবস্থায়, সকলেই চাইছিল যে অঙ্কুরের সাথেই মিলন হোক ফুলঝুরির। এমনই ফুলের বাড়ির লোকও চাইছিল তাদের দুজনের বিয়ে হোক। তবে দর্শকদের চাওয়া তো আর সব নয়। লীনা গাঙ্গুলী কী চাইছেন সেটাই হল বড় কথা। আর তাই শেষপর্ব নিয়ে বাড়ছিল উত্তেজনা।
অবশেষে সেই পর্ব সামনে এল। যেখানে দেখা যাচ্ছে অপারেশনের পরে আবারও লালনের কাছেই ফিরল ফুলঝুরি। শেষ পর্বে দেখা গেল এক ছাদের তলায় হাজির গোটা পরিবার। নেই কেবল অঙ্কুর। এমনকি শেষ পর্বে সম্পূর্ণ পালটি খেয়ে গেল ফুলঝুরি নিজেই।
সাংবাদিকদের সামনে ফুলঝুরি বলে, ‘লালন আমার জীবনে সেই মানুষ যার মধ্যে গভীর আসক্তি থেকে নির্লিপ্তি রয়েছে, ও এমন একটা মানুষ যার সাথে সন্ন্যাস আর সংসার দুটোই করা যায়। লালন ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের কথা ভাবতেই পারিনি।’ আর ধারাবাহিকের এরকম এন্ডিং দেখে রীতিমত খেপে উঠেছে দর্শকমহল। অনেকেই বলছেন, ‘এ জগতে এভাবেই হেরে যায় সত্যি ভালোবাসার মানুষগুলো।’