World Economy

Moumita

ডুবেছে আমেরিকার অর্থনীতি! চীন, আমেরিকাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আছে ভারত, দেশের কত স্থান জানেন?

আমেরিকায়(America) আরও একটি ব্যাঙ্ক ডুবে গেল। গত দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বড় ব্যাংক ডুবে গেছে। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কিং(Banking) সংকটের পাশাপাশি দেশে নগদ অর্থ সংকটের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আগাম সতর্কতা জারি করেছেন, ১ জুনের মধ্যে ঋণের সীমা বাড়ানো না হলে আমেরিকা তার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ডিফল্ট হবে।

   

আর এই কারণেই দেশে মন্দার আশঙ্কা আরো বেড়েছে। শুধু আমেরিকা নয়, ইউরোপের মত অনেক বড় দেশও মন্দার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তালিকায় রয়েছে ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি, জার্মানি এবং ফ্রান্স। এছাড়া কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও মন্দার আশঙ্কা বেড়েছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন হল, ভারতে মন্দার পূর্বাভাস কী?

ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিক্স অনুসারে, ভারতে মন্দার কোনও সম্ভাবনা নেই। বড় দেশগুলির মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে মন্দার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী অর্থনীতির দিক দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ভারত।

IMF-র মতে, এ বছরও ভারতের অর্থনীতি হবে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। এপ্রিল মাসে জিএসটি সংগ্রহের সমস্ত রেকর্ড ভেঙেছে আমাদের দেশ। এর সাথে ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআইও চার মাসের শীর্ষে পৌঁছেছে। গত এপ্রিল মাসে বেশিরভাগ অটো কোম্পানির বিক্রিই বেড়েছে। এসব থেকে স্পষ্ট যে, বিশ্ব যখন মন্দার ভয়ে কুঁকড়ে আছে, তখন ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মন্দার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি যে দেশগুলিতে : বিশ্বে মন্দার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। প্রায় ৭৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে এই দেশে। তালিকার দুই নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এবছর সেখানে মন্দার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। ৬৫ শতাংশ শঙ্কা নিয়ে আমেরিকা রয়েছে সাত নম্বরে। ইউরোপের জার্মানি, ইতালি এবং কানাডায় মন্দার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ।

একইভাবে, ফ্রান্সে এটি ৫০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪৫ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ শতাংশ, রাশিয়ায় ৩৭.৫ শতাংশ, জাপানে ৩৫ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ শতাংশ এবং ২৭.৫ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেক্সিকো, স্পেনের ক্ষেত্রে এটি ২৫ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ২০ শতাংশ এবং ব্রাজিলে ১৫ শতাংশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন এ বছর ১২.৫ শতাংশ, সৌদি আরব ৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়া ২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।