সাম্প্রতিক অতীতের দিকে তাকালে একটা কথা জলের মতো স্পষ্ট যে, সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি খুব দ্রুত ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলিউডকেও। সাম্প্রতিক কালে মুক্তিপ্রাপ্ত বেশকিছু টলিউড ছবি ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে অনেক বড়ো বড়ো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দক্ষিণী তারকাদের জনপ্রিয়তাও। আজ এই প্রতিবেদনে এমন কিছু দক্ষিণী তারকার কথা বলবো যারা এইমুহুর্তে রূপোলী পর্দায় ব্যাপকভাবে সফলতা লাভ করেছে তবে তারা প্রত্যেকেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন টেলিভিশনের হাত ধরে।
সাই পল্লবী :- সাউথের খ্যাতনামা অভিনেত্রী সাই পল্লবীকে কে না চেনে না। এইমুহুর্তে তাকে দক্ষিণের শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন গণ্য করা হয়। কিন্তু জানেন কি সাই পল্লবী ২০০৮ সালে একটি রিয়েলিটি শো’তে প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই প্রথম তার পর্দায় আসা। শো’টির নাম ছিলো উগাইল ইয়ার অদুথা প্রভু দেবা। এই রিয়েলিটি শো’এর পর তিনি ২০১৫ সালে ‘প্রেমাম’ নামক একটি মালায়ালম ছবির হাত ধরে বড়ো পর্দায় অভিষেক হয় তার।
নয়নতারা :- ক্লাসিক বিউটি নয়নতারার আলাদাই ফ্যান ফলোয়িং এই মুহূর্তে। দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ অভিনেত্রীদের তালিকায় তার নাম সবসময় প্রথম দিকে। তার সাদামাটা সাজপোশাক এবং ব্যক্তিত্বময়ী চেহারার পাশাপাশি দূর্দান্ত অভিনয়ের জন্য বিশেষ পরিচিত তিনি। তবে খুব কম জনই জানেন যে, নয়নতারা প্রথমে একটি টিভি হোস্ট হিসাবে তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন এবং তারপরে ২০০৩ সালে, ‘মনসিঙ্করে’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। এইমুহুর্তে ‘গড ফাদার’, ‘ও2’, ‘জওয়ান’ এবং ‘গোল্ড’ এর মতো একাধিক মেগা বাজেটের ছবি রয়েছে অভিনেত্রীর ঝুলিতে।
হানসিকা মোটওয়ানি :- তালিকার পরবর্তী নাম হানসিকা মোটওয়ানি। দক্ষিণের বহু হিট ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। এইমুহুর্তে ভারতেল দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও গোটা ভারতজুড়ে তার অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রসঙ্গত, হানসিকা একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘শাকালাকা বুম বুম’ এর হাত ধরে অভিনয় জীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিলো এই প্রোগ্রামটি। এরপর ২০০৩ সালে বলিউডের কাল্ট ক্লাসিক ছবি ‘কোই মিল গায়া’তে দেখা যায় তাকে। এই ছবির কথা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই বোধহয়। এরপরই দক্ষিণী ছবি ‘দেসামুদুরু’র হাত ধরে টলিউডে পা রাখেন এবং এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য বেস্ট ফিমেল ডেবিউ ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও জিতে নেন।