মাঝে কিছুদিন গরমের দাপট কমলেও আবারও হুহু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। তারসাথে ছেলেমেয়েদের স্কুলের ছুটিও পড়ে গেছে। তাই তাই সবাই উড়ু উড়ু মনে পাহাড় ঘুরতে (Travel) বেরোচ্ছেন। তবে অনেকেই আবার পাহাড়ে বিরাট ভিড় দেখে আর দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) দিকে আর পা না বাড়িয়ে সোজা ডুয়ার্স (Dooars) চলে যাচ্ছেন।
আজ ঠিক সেই অর্থে ডুয়ার্সের কথা বলবনা আমরা। বরং আজ আপনাদের জন্য পাহাড়ের কোলেই এই দারুণ স্থানের খোঁজ নিয়ে হাজির হয়েছি। ডুয়ার্স ঘেঁষা কালিম্পংয়ের গ্রামগুলো এই গরমে দারুণ প্রমাণিত হচ্ছে। মানে ঘোরার জন্য একদম আদর্শ। তেমনই অফবিট এক গ্রামের খোঁজ নিয়ে আবারো হাজির আমরা।
আমাদের আজকের গন্তব্য হল রঙ্গো। কালিম্পংয়ের কোলে ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা এই গ্রামের সৌন্দর্য দেখলে চোখ কপালে উঠবে। নির্জনতার মাঝে ছোট্ট গ্রাম রঙ্গো আজকাল মানুষের অন্যতম পছন্দের জায়গা। একদিকে মেঘ আর পাহাড়ের সংমিশ্রণ অন্যদিকে ঝর্ণার কলকলানি আপনাদের ভালো লাগতে বাধ্য।
রঙ্গো মূলত পশ্চিম ডুয়ার্সের অংশ। এখানকার খুব কাছেই অবস্থিত রিশপ, লাভা, টিফিনদারা ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে আবার সিকিমের বেশ কিছু অংশের ভিউও পাবেন আপনি। ছিমছাম, নির্জন ছবির মতো সুন্দর এই পাহাড়ি গ্রাম রঙ্গো। পাশ দিয়েই দেখতে পাবেন পাহাড়ি ঝোরা। থাকার জন্যও রয়েছে একাধিক হোম স্টে। সামনেই পাহাড়ি ঝর্নার ওপর কাঠের ব্রিজ দেখতে পাবেন। ঘোরার এবং ছবি তোলার একদম আদর্শ জায়গা এই রঙ্গো।
কীভাবে যাবেন : NJP থেকে রঙ্গোর দূরত্ব খুব বেশি নয়। একটা গাড়ি করেই পৌঁছানো যাবে এই স্বর্গরাজ্যে। গোটা রাস্তার জার্নিটা কিন্তু স্মৃতির মনিকোঠরে গেঁথে থাকবে। অন্য রাস্তা ধরতে চাইলে এনজেপি বাদ দিয়ে আপনি নিউ মাল জংশনে নেমেও এখানে পৌঁছাতে পারবেন।