দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একটু আশার আলো দেখিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। অবশেষে চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিল ঐন্দ্রিলার শরীরে। ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়বার নয়। শনিবারই ঘনিয়ে এল বিপদ। আবার একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন ঐন্দ্রিলা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজকেই আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে অভিনেত্রীর। যদিও তা খুব বেশি গুরুতর নয়। মাইল্ড কার্ডিয়্যাক অ্যারেস্ট হয়েছে ঐন্দ্রিলার। এবং চিকিৎসকদের তৎপরতায় তাকে রিকোভারও করা গিয়েছে। এই মুহূর্তে কড়া নজরে রাখা হয়েছে তাকে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট করে সব্যসাচী লেখেন, ‘পরশুদিন সকালে ঐন্দ্রিলার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, চোখের সামনে দেখলাম ওর হার্টরেট ড্রপ করে চল্লিশের নিচে নেমে তলিয়ে গেলো, মনিটরে ব্ল্যাঙ্ক লাইন, কান্নার আওয়াজ, তার মাঝে ডাক্তাররা দৌড়াদৌড়ি করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন ফের ফিরে এলো বিভিন্ন সাপোর্টে, হার্টবিট ১২০।’
সত্যি বলতে মাঝে একবার আশা ছেড়ে দেওয়ার মতোই অবস্থা হয়েছিল। এমনকি এক নামকরা নিউরোসার্জন বলেন, “ও চলে গেছে অনেক আগেই, শুধুশুধু এইভাবে আটকে রাখছেন কেন? এমনিতেও কালকের মধ্যে সব থেমেই যাবে। লেট্ হার গো পিসফুলি”। কিন্তু সব্যসাচীর কথায়, ‘রাখে বড়মা তো মারে কোন!’ মিরাক্যল সত্যিই হয়েছে। এক রকম শূন্য থেকে ফিরে এসেছেন ঐন্দ্রিলা।
এরসাথে তিনি টলি অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীকেও সপাটে জবাব দেন। গতকাল ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে দীর্ঘ বার্তার এক অংশে লেখা ছিল, “ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন, ‘ফোন’ থেকে করুন লিখিনি।”
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ”চিকিৎসাশাস্ত্রে যে বিজ্ঞানই শেষ কথা, আমি সে কথাও জানি। তবে পর পর তিনজন নিউরো-সার্জন যদি বলেন ‘ঈশ্বরকে ডাকুন’, তাহলে আর না ডেকে উপায় কি? ওনাদের তুলনায় আমি নিতান্তই অশিক্ষিত।” এরসাথে নিজেদের শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি।