সনাতন ধর্মে নদীকে দেবী ও মাতৃরূপে পুজো করা হয়। কারণ প্রাচীন কাল থেকেই নদীর ধারেকাছে শহর, নগর গড়ে উঠতে শুরু করেছে। এই নদীকে আধার করেই বেড়ে উঠেছে প্রাণ। সময়ের সাথে সাথে মানুষ সভ্যতার দিকে এগিয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা হোক কী শিল্পোন্নয়ন সবেতেই নদীর গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
প্রসঙ্গত, ভারতের (India) মতো দেশে ছোটবড় মিলিয়ে মোট ২০০টি নদী রয়েছে। আমাদের অনেক ধর্মগ্রন্থেও বহু নদীর উল্লেখ দেখা যায়। তবে এইসবের মধ্যে মা গঙ্গা ( Ganga River) এবং যমুনার স্থান সবচেয়ে উপরে। বলা হয় গঙ্গা এবং যমুনা নদীর ইতিহাসও সবচেয়ে প্রাচীন। তবে অনেক জায়গায় এটাও বলা হয় যে, যমুনা এবং গঙ্গার আগেও একটি নদী আগেও প্রবাহিত হত, যেটিকে ভারতের প্রথম নদী বলা হয়।
সম্প্রতি জ্যোতিষী বিশেষজ্ঞ ড. রাধাকান্ত ভাতস এই নদী সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন। এই নদী, এর সাথে জড়িত অভিশাপ, এর কাহিনী এবং হিন্দু ধর্মে এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। জানা যায়, ভগীরথের কঠোর তপস্যায় খুশি হয়ে মা গঙ্গা স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে এসেছিলেন কিন্তু গঙ্গার আগেও ভারতে একটি নদী থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
কথিত আছে গঙ্গার আগে পৃথিবীতে সরস্বতী নদী প্রবাহিত হত। সরস্বতী নদী মা সরস্বতীর পদ্ম থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে। তখন তিনি সরস্বতী নদীকে বিলীন হওয়ার অভিশাপ দেন। পুরাণ মতে বিশ্বাস করা হয় যে সরস্বতী নদী এখনও প্রবাহিত কিন্তু ভূগর্ভস্থ। এছাড়া পূরাণে এটাও বলা আছে যে, কল্কি অবতারে সরস্বতী নদী আবার আবির্ভূত হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেক গবেষণায় মাটির নিচে প্রবাহিত সরস্বতী নদীর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর ধারণা করা হয় এটি ছিল ভারতের প্রথম নদী যা আজও অভিশাপ ভোগ করছে। অতএব পূরাণ মতে, গঙ্গা নয় সরস্বতীই হল সবচেয়ে আদি নদী।